‘পরবাসী’ নিজ দেশে বসবাস করেও, বাংলাদেশ সীমান্তের ভোটাররা ভোট দেন পরিচয় ধরে রাখতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নিজ দেশে বসবাস করেও ‘পরবাসী’র মতো অবস্থা মালদহের ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজনের ,তারা এমনকি ভোটও দেন নিজেদের পরিচয়টুক ধরে রাখতেই। এদিকে ভোটের অনেক চাওয়া পাওয়া রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজনের । কারণ কারোর বাস সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারের এপারে কারো বা ওপারে। এমনি চিত্র মালদহের সীমান্তবর্তী বামনগোলার চাঁদপুর এলাকায়। ভোট আসে, এমনকি ভোট বৈতরণী পার করে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতার শীর্ষে বসলেও সেই তিমিরে রয়ে গেছে সীমান্ত লাগোয়া কাঁটা তারের মানুষগুলোর অবস্থা। প্রতিবারই প্রশ্ন ওঠে এমন কেন তাদের পরিস্থিতি?
মূলত, মালদায় ভোট হতে চলেছে সপ্তম ও অষ্টম দফায়। করোনা আবহের মধ্যেও ভোট প্রচারে একে অপরকে পাল্লা দিচ্ছে শাসক ও বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। জেলার সীমান্তে রয়েছে বাংলাদেশ। সেই দেশেও করোনার ফলে বাংলাদেশের সরকার লকডাউন শুরু করেছে। রাজনৈতিক ব্যস্ততা আছে মালদহের ১৭২কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায়। কয়েক দশক ধরে কয়েকশ পরিবার নিজ দেশে থেকে রয়েছে ভাড়াটিয়ার মতই। কার্যত তারা সংশোধনাগারের জীবন কাটাচ্ছেন। ভোট আসলে তাদের আশা জাগে তাদের এমন জীবন থেকে মুক্তি দেবে নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে। কিন্তু আজও বাস্তবরপ পায়নি তাদের সেই স্বপ্ন। তবুও ভোট তারা দেবেন মুক্তি আশার স্বপ্ম নিয়েই। সীমান্ত কাঁটাতারের বাইরে প্রায় রয়েছেন ৩২৫টির বেশী পরিবার।
এই পরিবার গুলির বসবাস মূলত ১৭২কিলোমিটার মালদহ সীমান্তে। জিরো পয়েন্টে যেখানে কোনো অনুমতি নেই মানুষের বসবাসের। দেশভাগের পর তারা সেখানেই থেকে গেছে। সীমান্তের ধার ঘেঁষে সেইসব গ্রাম আজও মোড়া রয়েছে কাঁটাতার আর আইনের বেড়াজালে। ফলে প্রবেশের নিষেধাঞ্জ রয়েছে। তিনশো মিটার পথ হবিবপুর বিধানসভার চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতোরা গ্রাম। গ্রামের চরিত্র মেঠো বাড়ি,গ্রাম্য আঁকাবাঁকা পথ,সবুজ মাঠ।