পাকিস্তানকে সাহায্য করা মানেই সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া, বিশ্বকে এমনি বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান ৷ বিশ্ববাসীকে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে ৷ পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলা প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘থিঙ্ক ট্য়াঙ্ক’দের সেই কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রতিনিধি দলের সদস্য, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ভারত ৷ পহেলগাঁও হামলার মোক্ষম জবাবে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে সামরিক অভিযান চালিয়েছে দেশ ৷ বিশ্ব দরবারে সেই কথা তুলে ধরার জন্য় দক্ষিণ কোরিয়ারার সিওলে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় প্রতিনিধি দল ৷ জেডি (ইউ) সাংসদ সঞ্জয় ঝায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এদিকে সিওলে অপারেশন সিঁদুরের প্রচারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “9/11, 26/11, উরি, পহেলগাঁও- সন্ত্রাসবাদের প্রতিটি ঘটনায় বারবার পাকিস্তানের নাম উঠে এসেছে ৷ জঙ্গিদের ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান ৷ বিষয়টি আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ৷ এমনকী, ওসামা বিন লাদেনকেও আশ্রয় দিয়েছিল পাকিস্তান ৷ কারণ, সে দেশের আবোতাবাদে তার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল ৷”

এরপর, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাপের সঙ্গে তুলনা করে অভিষেক বলেন, “প্রতিবেশীকে কামড়াবে, এই ভেবে বাড়ির বাগানে সাপ পুষলে ভুল করবেন ৷ কারণ, সেই সাপ বড় হয়ে একদিন আপনাকেও ছোবল মারতে পারে ৷ সাপটি একবার ছেড়ে দিলে সে যাকে সামনে পাবে তাকেই কামড়াবে ৷ এটাই তার বৈশিষ্ট্য ৷” অভিষেকের কথায়, “সৌজন্য ও নমনিয়তার সঙ্গে শুধু একটা কথাই বলতে চাই ৷ পাকিস্তানকে কোনও রকম সাহায্য করার অর্থ হল, সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া ৷ পাকিস্তানের হয়ে কথা বলা মানেই জঙ্গি কার্যকলাপে সমর্থন করা ৷ কারণ, বছরের পর বছর ধরে তাদের দেশে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান ৷” পাকিস্তান ভারতের আর্থিক উন্নতি চায় না ৷ পহেলগাঁওয়ের হামলাই তার প্রমাণ বলে মনে করেন অভিষেক ৷
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে প্রচারে দক্ষিণ কোরিয়া-সহ ৩৩ টি দেশে যাচ্ছে ভারতের প্রতিনিধি দল ৷ সোমবার সিওলের সভায় অভিষেক বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশাল একটি আর্থিক বৈষম্য রয়েছে ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করেছে ভারত ৷ অথচ, পাকিস্তান আজও তাদের আর্থিক মন্দার সঙ্গে লড়াই করে চলেছে ৷” তৃণমূল সাংসদ জানান, এই সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখে পহেলগাঁও হামলার পর ১৪ দিন অপেক্ষা করেছে ভারত ৷ নিয়ম মেনে দোষীদের শাস্তির অপেক্ষা করেছিল ভারত ৷ অভিষেক বলেন, “প্রায় 2 সপ্তাহ অপেক্ষার পর পাকিস্তানের তরফে কোনও পদক্ষেপ না-নেওয়ায় ৭ মে ভারত আক্রমণ করে ৷ একটিও সাধারণ মানুষের প্রাণ না-নিয়ে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়ে ন’টি জঙ্গিঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৷”
এরপর বাংলার প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “আমি বাংলা থেকে এসেছি ৷ সেই এলাকার সঙ্গে কোরিয়ার সভ্যতার বহু মিল খুঁজে পাওয়া যায় ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমি থেকে এসেছি ৷ তাঁর লেখা ‘ল্যাম্প অফ দ্য ইস্ট’ এই দেশে এখনও বহু চর্চিত ৷ ভারত শান্তি, মানবতা এবং অহিংসায় বিশ্বাস করে ৷ তবে, আমাদের সহনশীলতা আমাদের দুর্বলতা নয় ৷”