পারদের সঙ্গেই কি পেঁয়াজের দাম চড়বে এ দেশে ? অবশেষে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সম্প্রতি পেঁয়াজের এক চরম সঙ্কট দেখা গিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশে। কোথাও পেঁয়াজের আকাল। আবার কোথাও কোথাও পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দাম। এই পরিস্থিতিতে গত মাসেই এক সতর্কতা জারি করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক । তবে ভারতের বাজারে দেখা গিয়েছে এর ঠিক বিপরীত ছবি । একদিকে বিশ্বের একাধিক দেশে যখন মিলছে না পেঁয়াজ, তখন মজুত পেঁয়াজ ক্রমশ পচছে ভারতের বাজারে। বিশ্বে দাম চড়া হলেও ভারতের বাজারে ক্রমশ কমছে পেঁয়াজের দাম। তাই লাভ না পেয়ে পচে যাচ্ছে চাষিদের ফলন।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার দাঁড়িয়েছে চাষিদের পাশেই । শুক্রবার উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়াকে (নাফেড) এশিয়ার বৃহত্তম পেঁয়াজ বাণিজ্য কেন্দ্র নাসিক থেকে উদ্বৃত্ত পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করতে বলেছে যেখানে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় না সেসব রাজ্যে ।
এদিকে ক্রেতাদের মুখেও বেশ হাসি সস্তায় পেঁয়াজ মেলায় । তাঁরা বাজারে ১ থেকে ২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পেয়ে যাচ্ছেন। তবে কৃষকেরা লাভ ঘরে তুলতে পাচ্ছেন না। পেঁয়াজের দাম কম পাওয়ায় কৃষকরা এদিকে পেঁয়াজের নিলাম বন্ধ করে দিচ্ছে। নাসিক সহ বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্য় দামের জন্য প্রতিবাদ বিক্ষোভও করছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের হর্টিকালচারিস্ট রাজেন্দ্র তুকারাম জানিয়েছেন, একটি স্থানীয় ফার্মকে ৫১২ কেজি পেঁয়াজ ৫১২ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১ টাকায়। গত ২৬ ডিসেম্বর ক্যুইন্টাল প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ১,৮৫০ টাকা। তা কমে ২৩ ফেব্রুয়ারি দাঁড়িয়েছে ৫৫০ টাকায়। রাজস্থানের কৃষকরাও জানিয়েছেন, উৎপাদন মূল্যের কম দামেই তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এই আবহে কৃষকদের সুরাহা দিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে বিদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এই পরিস্থিতিতে বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি করলে দেশীয় বাজারে ধীরে ধীরে দাম বাড়তে পারে পেঁয়াজের।