পিস্তল প্রশিক্ষণ হাতে ধরে , উইকেটের মার মাটিতে ফেলে! জোর বিতর্ক আড়িয়াদহের জয়ন্ত-গ্যাংয়ের ভিডিয়োকে ঘিরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আড়িয়াদহের গ্যাংস্টার জয়ন্ত সিং। আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে পেটানোর অভিযোগে তিনি আপাতত রয়েছে পুলিশের হেফাজতেই । তাঁর একের পর এক কুকীর্তি সামনে আসছে গ্রেফতারির পরও। প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে রয়েছে জয়ন্ত সিংয়ের গ্যাংয়ের গুন্ডামির ছবি। এমনও ছবি সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে জয়ন্ত সিং বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। যাঁকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তিনি আবার তৃণমূল কর্মী।
এদিকে একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ঘরের মধ্যে এক জনকে মাটিতে ফেলে উইকেট দিয়ে জয়ন্ত-গ্যাংয়ের সদস্যরা মারধর করছেন। বেধড়ক পেটাচ্ছেন তাঁরা। ভিডিয়ো দেখে তাঁদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাহুল গুপ্তা, শিবম গুপ্তা, সুমন, জঙ্গা, অভিষেক বর্মন। উল্লেখ্য, আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে পেটানোর অভিযোগেও তাঁদের নাম রয়েছে এফআইআর-এ। দ্বিতীয় আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে বাপ্পা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে বন্দুক শেখানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন জয়ন্ত সিং।
জয়ন্ত-গ্যাংয়ের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পান স্থানীয় বাসিন্দারাও । এখন জয়ন্ত গ্রেফতার হতে আড়িয়াদহের পরিস্থিতি বদলেছে বলছেন অনেকে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “জয়ন্ত এভাবেই ত্রাস তৈরি করেছিল আড়িয়াদহে। অস্ত্র নিয়ে ওর ছেলেরা ঘুরে বেড়াত। সারা রাতদিন তোলাবাজি, বন্দুক নিয়ে ঘোরাফেরা করে। ছেলে তৈরি করে জয়ন্ত।”
জয়ন্ত সিংয়ের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল শাসক নেতৃত্বের মধ্যেই। কার ঘনিষ্ঠ, তা নিয়ে সাংসদ-বিধায়কের মধ্যেও আকচাআকচি কম হতে দেখা যায়নি। অপরাধের এতদিন পর জয়ন্তর গ্রেফতার না হওয়ায়, তারপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে জয়ন্ত-গ্যাংয়ের নতুন ভিডিয়ো সামনে আসতেই শোরগোল। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “বাংলায় এ পরিস্থিতি তো নতুন নয়। জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়ে গিয়েছে। সাহস তো পাচ্ছে। বিধায়ক-সাংসদ যেমন, তেমনই তো হবে। ” এদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “এই ধরনের কাজ কখনই কাম্য নয়। যারা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই ভিডিয়ো অনেকদিন আগের। তা নতুন করে আপলোড করার পিছনে কোনো রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে।”