পুজোয় টয়ট্রেনে চাপতে চান? কু-ঝিকঝিক শব্দে হারিয়ে যেতে চান পাহাড়ি পথে?কিছুদিন অপেক্ষা করে টিকিট কাটবেন, ছেড়ে দিন সে আশা
নিজস্ব সংবাদদাতা : পুজোয় টয়ট্রেনে চাপতে চান? কু-ঝিকঝিক শব্দে হারিয়ে যেতে চান পাহাড়ি পথে? ভাবছেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করে টিকিট কাটবেন? তবে সে আশা ছেড়ে দিন। কারণ পুজোর মরশুমে ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এনজেপি-দার্জিলিং টয়ট্রেনের সমস্ত টিকিট আপাতত বিক্রি হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও কয়েকশো মানুষ টিকিট কেটে ওয়েটিংয়ে রয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রেল বাড়তি ট্রেন না চালালে ওয়েটিং টিকিট কনফার্ম হওয়ার কোনও সুযোগই নেই।
ডিএইচআর সূত্রে খবর, ১৫ অক্টোবরের পরে কিছু টিকিট এখনও মিলছে। কিন্তু যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে সেই টিকিটও খুব শীঘ্রই ফুরিয়ে যাবে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)-র কিছু জয়রাইড রয়েছে। সেগুলিরও বুকিং প্রায় শেষ। তাই পুজোর সময় নতুন ট্রেন দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে ডিএইচআর। ডিএইচআরের ডিরেক্টর একে মিশ্রা বলছেন, অক্টোবর মাসের ১৫ দিনের টিকিট বুকিং হয়ে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি হয়েছে। আশা করি দীপাবলিতেও টয়ট্রেনের চাহিদা একইরকম থাকবে। প্রয়োজন বুঝে বাড়তি ট্রেন দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী ট্রেনে এনজেপি থেকে দার্জিলিং যাচ্ছেন। ফেরার ট্রেনেও যাত্রীসংখ্যা প্রায় একইরকম থাকছে। এরই মাঝে সুখবর এসেছে। ডিএইচআর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই প্রচুর বুকিং রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত জয়রাইড এবং এনজেপি-দার্জিলিং ট্রেনে ৮০ শতাংশ বুকিং এখনই হয়ে গিয়েছে। আর ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এনজেপি-দার্জিলিং ট্রেনের টিকিটই নেই। সব বুকড হয়ে ওয়েটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা এযাবৎকালে প্রথম বলে দাবি করছেন ডিএইচআর কর্তারা।
পুজোর সময় প্রতি বছরই পাহাড়ে পর্যটক আসে। তাই টয়ট্রেনের চাহিদাও থাকে। কিন্তু এবার তা অন্যবারের রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে রেল। ডিএইচআর কর্তাদের অনুমান, অক্টোবর মাসের পরবর্তী ১৫ দিনের টিকিটও খুব তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যাবে। তাই এই সময়কালের জন্যে যদি বাড়তি ট্রেন দিতে হয় তার জন্যে কী কী করণীয় তা নিয়ে রেলকর্তারা ইতিমধ্যে আলোচনাও সেরে ফেলেছেন।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছেও টয়ট্রেন নিয়ে খোঁজখবর করছেন পর্যটকরা। কিন্তু টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে শুনে হতাশ হচ্ছেন অনেকেই। তাই পুজোয় বাড়তি টয়ট্রেন চালানো হোক, চাইছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। শিলিগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলছেন, টয়ট্রেন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই খোঁজখবর করছেন। তাঁর মতো অনেকেই দাবি তুলছেন, আরও বেশি করে টয়ট্রেন চালানোর। এখন দেখার, ডিএইচআর সত্যিই তেমন কোনও পদক্ষেপ করে কি না।