পেশ হলো মোদী সরকারের সাধারণ বাজেট ২ ০ ১ ৯
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পেট্রল ও ডিজেলে ১ টাকা সেস বসছে
সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর ওপরে আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে হবে ১২.৫ শতাংশ।
গাড়ির যন্ত্রাংশ, অপটিক্যাল ফাইবার, ডিজিট্যাল ক্যামেরা, কয়েক ধরনের কৃত্রিম রবার ও ভিনাইল ফ্লোরিং-এর ওপরে মূল কাস্টমস ডিউটি বাড়ছে।
আমদানি করা বইয়ের ওপরে কাস্টমস ডিউটি বসছে পাঁচ শতাংশ।
কয়েকটি বৈদ্যুতিন যন্ত্রের বিভিন্ন অংশের আমদানির ওপরে কাস্টমস ডিউটি ছাড় দেওয়া হল
নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের ওপরে মূল কাস্টমস ডিউটি বাড়ানো হল।
ভারতে তৈরি কয়েকটি বৈদ্যুতিন যন্ত্রের ওপরে কাস্টমস ডিউটি ছাড় দেওয়া হল।
বিদেশে তৈরি প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম আমদানির সময় মূল কাস্টমস ডিউটি দিতে হবে না।
পুরোপুরি অটোমেটেড জিএসটি রিটার্ন মডেল চালু হবে।
২ কোটি থেকে ৫ কোটি এবং ৫ কোটির উর্ধ্বে যাঁদের আয়, তাঁদের বাড়তি সারচার্জ দিতে হবে। ট্যাক্স রেট ২ কোটি থেকে ৫ কোটি আয়ের ক্ষেত্রে তিন শতাংশ ও পাঁচ কোটির বেশি আয় হলে সাত শতাংশ বাড়বে।
বছরে ব্যাঙ্ক থেকে ১ কোটি টাকার বেশি তুললে আয়ের উৎসমুখে কর কাটা হবে দুই শতাংশ।
প্যান ও আধার কার্ড একটির বদলে অপরটি ব্যবহার করা যাবে।
সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে ছাড় বাড়ছে। ১৫ বছরের মেয়াদে গৃহঋণ নিলে সাত লক্ষ টাকা ছাড় মিলবে।
স্টার্ট আপ সংস্থাগুলি যে তহবিল সংগ্রহ করবে তার ওপরে ইনকাম ট্যাক্স স্ক্রুটিনি হবে না।
যে কোম্পানিগুলির বার্ষিক টার্ন ওভার ৪০০ কোটি পর্যন্ত, তাদের কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হবে ২৫ শতাংশ।
পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের বার্ষিক আয়, তাঁদের আয়কর দিতে হবে না।
কর প্রশাসনকে সরলতর করা হবে।
প্রত্যক্ষ কর আদায় প্রতি বছর ১০ শতাংশের চেয়ে বেশি হারে বাড়ছে।
স্বাধীনতার পরে ৫০ বছরে আমরা অধিকারের ওপরে জোর দিয়েছি। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমরা জোর দেব দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্যের ওপরে। একইসঙ্গে অধিকারগুলিও বজায় থাকবে।
ভারতের বিদেশী ঋণ এখন সবচেয়ে কম। মোট জাতীয় উৎপাদনের পাঁচ শতাংশের কম।
আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামোয় ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী সম্পদের পরিমাণ গত এক বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।
অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে যাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট আছে, তাঁরা দেশে আসামাত্রই আধার কার্ড পাবেন। আগের মতো ১৮০ দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
যে সেলফ হেলপ গ্রুপগুলিতে একজন মহিলা আছেন, তারা মুদ্রা প্রকল্পে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাওয়ার উপযুক্ত বিবেচিত হবে।
উজালা যোজনায় ৩৫ কোটি এলইডি বাল্ব বিলি করা হবে।
স্টার্ট আপদের জন্য একটি টিভি চ্যানেল খোলা হবে।
বিভিন্ন শ্রম আইনকে একসঙ্গে যুক্ত করে চারটি লেবার কোড তৈরি হবে।
খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতা বাড়ানো হবে।
স্কুলে এবং উচ্চশিক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে।
আমাদের দেশের ৯৫ শতাংশ শহরে কাউকে খোলা আকাশের নীচে মলমূত্র ত্যাগ করতে হয় না।
দ্রুত নগরায়নের ফলে দেশের সামনে নতুন সুযোগ খুলে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৮১ লক্ষ বাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানে ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত ৯ কোটি ৬০ লক্ষ শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। ৫ লক্ষ ৬০ হাজার গ্রামে এখন কাউকে খোলা আকাশের নীচে মলমূত্র ত্যাগ করতে হয় না।
২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। দেশের জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণ করবে জল শক্তি মন্ত্রালয়।
জিরো বাজেট ফার্মিং মডেল চালু করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ৩০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। সেই কাজে ব্যবহৃত হবে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি।
সরকার ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে,
গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বিদ্যুৎ ও রান্নার গ্যাস পাবে।
এনআরআই বিনিয়োগ প্রকল্প ও বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগ প্রকল্প একসঙ্গে যুক্ত করা হবে।
উড়ান ও গণমাধ্যমে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা বাড়ানো হবে। বিমার ইন্টারমিডিয়ারিজের ওপরে ১০০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগে অনুমতি দেওয়া হবে।
যে পাইকারি ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের বার্ষিক লেনদেন দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত, তাঁদের অবসরভাতা সক্রান্ত সুবিধা বাড়ানো হবে।
২০১৮-৩০ সালের মধ্যে রেলের পরিকাঠামোয় ৫০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। দ্রুত উন্নয়নের জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে কাজ করা হবে।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, স্বাধীনতার পরে ভারতীয় অর্থনীতির আয়তন ১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে লেগেছে ৫৫ বছর। আমরা মাত্র পাঁচ বছরে তাতে আরও ১ হাজার কোটি ডলার যোগ করেছি।