ফের রেল দুর্ঘটনা উত্তর প্রদেশে, লাইনচ্যুত হল ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, মৃত অন্তত পক্ষে ২
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের এক রেল দুর্ঘটনা। এবার উত্তর প্রদেশের গোন্ডায় লাইনচ্যুত চণ্ডীগঢ়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। চণ্ডীগঢ়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের মোট ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ‘ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) গোন্ডা জেলার মতিগঞ্জ এবং ঝিলহি রেলওয়ে স্টেশনের মাঝের এক জায়গায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের আধিকারিকরা। উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে রওনা দিয়েছে সেনা জওয়ানদের একটি দল। গত ১৭ জুন দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। তারপর একমাস যেতে না যেতেই ফের দুর্ঘটনার মুখে পড়ল আরও একটি দূর পাল্লার ট্রেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চণ্ডীগড় থেকে ছেড়েছিল ট্রেনটি। এদিন দুপুরে ট্রেনটি গোন্ডার ঝিলহি স্টেশনের কাছাকাছি আসার পর হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। এরপরই ট্রেনটি কাঁপতে শুরু করে এবং লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিলেন তাঁরা। লাইনচ্যুত ট্রেনটি থামার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত যাত্রীরা ট্রেনটি থেকে বেরিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ট্রেনটির উল্টে থাকা বগিগুলির পাশে মালপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। অনেককে, ট্রেনের দরজা বেয়ে উঠে ভিতর থেকে মাল বের করতেও দেখা যায়। বাঁদিকে কাত হয়ে পড়ে থাকা একটি কোচের উপরও কয়েকজন যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ট্রেনে থাকা এক যাত্রী বলেছেন, “আমি বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছি। প্রাণটা যে বেঁচেছে, তাতেই আমি আনন্দিত। চিন্তা করবেন না, আমি ভালো আছি।”
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির চারটি এসি কোচের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দুটি বগি সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। লাইনে কিছু পড়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরপরই খবর দেওয়া হয় রেল প্রশাসনকে। তারপর শুরু হয়েছে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ। রেলের মেডিক্যাল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, যোগী আদিত্যনাথ সরকারি কর্তাদের অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর এবং ত্রাণের কাজে দ্রুততা আনার নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের সবরকম চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রেলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে:
লখনউ – ৮৯৫৭৪০৯২৯২ গোন্ডা – ৮৯৫৭৪০০৯৬৫ বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণ: ৯৯৫৭৫৫৫৯৮৪ ফুরকেটিং : ৯৯৫৭৫৫৫৯৬৬ মারিয়ানি : ৬০০১৮৮২৫১০ সিমালগুড়ি : ৮৭৮৯৫৪৩৭৯৮ তিনসুকিয়া : ৯৯৫৭৫৫৫৯৫৯ ডিব্রুগড় : ৯৯৫৭৫৫৫৯৬০