বড় ‘ব্রেক থ্রু’,গত ৭ দিনে, আরজি করের সুপ্রিম শুনানিতে প্রাধান্য পেতে চলেছে এই ৩টি বিষয়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মঙ্গলবারের শুনানি মূলত তিনটি দিকে নজর থাকবে সুপ্রিমকোর্টের। এরই মধ্যে তিলোত্তমার ধর্ষণ খুনের অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এই জোড়া গ্রেফতারি সিবিআই-কে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মঙ্গলবারের শুনানির আগে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবীও বদল হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গীতা লুথারার পরিবর্তে জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে সওয়াল করবেন আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিংহ।

চালান কি পাওয়া গেল? কারণ গত শুনানির সময়ে এই চালান নিয়েই একটি জটিলতা তৈরি হয়। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল, সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহেতা- কারোর তরফে চালান দেখানো সম্ভব হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ময়নাতদন্তের সময় ক্রাইম সিন থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় তথ্য-প্রমাণের উল্লেখ সম্বলিত একটি চালান থাকা উচিত। কিন্তু সেই চালান অমিল ছিল। রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে সেই চালানের কপি জমা দিতে বলা হয়েছে।

চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আগে প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য নিরাপত্তা পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি নিম্নলিখিত চারটি কাজ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট।

১. প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালে মহিলা এবং পুরুষদের জন্য আলাদা ডিউটি রুম করতে হবে।

২. মহিলা এবং পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি বসাতে হবে।

৪. ১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানির আগে প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালে উপরোক্ত প্রত্যেকটি কাজ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন সংশ্লিষ্ট জায়গায় ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর (ডিএম) এবং পুলিশ সুপার।

মুখ্যমন্ত্রী- জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক জটিলতা: সূত্রের খবর, এই বিষয়গুলি মঙ্গলবারের শুনানির সময় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ না দেওয়ার কারণ হিসাবে তুলে ধরতে পারেন তাঁদের আইনজীবী।

পাশাপাশি, গত এক সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক নিয়ে জটিলতার বিষয়টিও উল্লেখ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্নের সভাঘরের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জটিলতার কারণে। পরে কালীঘাটে ডেকে পাঠানো হয় আন্দোলনকারীদের। নবান্নে বৈঠক ডাকা, মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা মঞ্চে যাওয়া এবং এবং পরে কালীঘাটের বাসভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের কারণেই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার ইস্যু উল্লেখ থাকতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *