বাবার মৃত্যুর দিন, একটু অন্যরকম ভাবে পালন করলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা তথা বিশিষ্ট সমাজ সেবী তনিমা ঘোষ
শিলিগুড়ি : বাবা চলে গেছেন, বাবাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন তিনি। তাই বাবার মৃত্যু, ভুলতে পারেন না তিনি। তিনি জানান , বাবা আমাকে শিখিয়ে গিয়েছিলেন , মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই সবচাইতে বড় ধর্ম। এর উপরে আর কিছু নেই। বিবেকানন্দ বলে গিয়েছিলেন , জীবে প্রেম করে যেই জন সেজন সেবিছে ঈশ্বর। তাইতো আমি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে এসেছি হাসপাতালে। যেখানে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো যায়। হাসপাতালে বহু দুস্থ রোগী আছেন যারা চিকিৎসা করাতে আসেন ঠিকই, কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই করাতে পারেন না। ভালোমতো খাবার পান না তারা, আমি তাদের পাশেই দাঁড়াতে চাই, দরকারেও পাশে থাকতে চাই বলেও এদিন জানান তনিমা ঘোষ।

তিনি আরো জানান, বাবার পাশে তখন দাঁড়াতে যে হয়তো ঠিক ভাবে দাঁড়াতে পারিনি তবে এখন আমি সংকল্প করেছিলাম, যে বাবার মৃত্যুর দিন কিছু একটা করব। তাই হাসপাতালে ছুটে এসে দুস্থ এবং অসুস্থদের হাতে তুলে দিলাম সামান্য কিছু সামগ্রী। ওদের আশীর্বাদই থাকবে আমার আগামী দিনের সাফল্যের পাথেয় হিসেবে। দুস্থ মানুষদের কষ্ট ভাগ করে নেওয়া তো সহজ কাজ নয়, সামান্য কিছু চেষ্টা করলাম। দেখা যাক কতটা কি করা যায়। আজকে আমি থেমে থাকতে চাই না , আগামী দিনেও যাতে এইভাবে কাজ করে যেতে পারি, সেটাই দেখতে চাই আমি। তাহলেই বুঝবো আমার জীবন সার্থক হয়েছে।