বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো হামলাকারীদের , মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী খুনে সামনে এলো এমনি তথ্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তাঁর সঙ্গে সবসময় থাকতেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। হামলার সময় ওই কনস্টেবলের চোখকে ফাঁকি দেওয়া যাবে কীভাবে? সেই ছক কষে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে খুনে ধৃত ২ হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর তথ্য সামনে এসেছে । সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার পর কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়েছিল হামলাকারীরা। তারপরই ভিড়ে মিশে পালানোর চেষ্টা করে। ৩ জন আততায়ীর মধ্যে ২ জন ধরা পড়ে।
মুম্বইয়ে বান্দ্রা পূর্বে তাঁর পুত্র জিশানের অফিসের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন বাবা সিদ্দিকি। বিধায়ক জিশানের অফিস থেকে বেরনোর পরই গুলি করা হয় প্রাক্তন এই মন্ত্রীকে। তিনজন আততায়ীর মধ্যে ধরা পড়েছে বছর তেইশের গুরমেল বলজিৎ সিং এবং বছর উনিশের ধরমরাজ কাশ্যপ। বলজিতের বাড়ি হরিয়ানায়। ধরমরাজের বাড়ি উত্তর প্রদেশে। তৃতীয় পলাতক আততায়ীর নাম শিবকুমার গৌতম। তার বাড়িও উত্তর প্রদেশে।
জানা গিয়েছে, দশেরার শোভাযাত্রার ভিড়ে মিশে বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ছক কষেছিল তারা। ঠিক করে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করবে বলজিৎ ও ধরমরাজ। কিন্তু, দশেরার শোভাযাত্রার ভিড় ও বাবা সিদ্দিকির নিরাপত্তা দেখে শিবকুমার জানায়, সেই প্রথম গুলি চালাবে। বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা কনস্টেবলের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর জন্য লঙ্কার গুঁড়ো ও লঙ্কার স্প্রেও পকেটে রেখেছিল তারা।