বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙল বিদ্যাসাগরের মূর্তি, প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হলেন বাংলার বিশিষ্ট জনেরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজনীতির গুতোয় সম্মানহানি ঘটলো শহর কলকাতার৷ ভেঙে ফেলা হল বিদ্যাসাগরের মূর্তি৷ লজ্জিত শহর
কলকাতার সমস্ত শুভবুদ্ধি নাগরিক৷ দেশের এই মহান সন্তানের মূর্তি ভাঙায় বর্তমান প্রজন্মের নীতি বোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ এই নিন্দনীয় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সমাজের নানা মহলের বিশিষ্টজনেরা সরব হয়েছেন ৷ ঘটনার প্রতি ধিক্কার জানিয়েছেন সকলেই৷এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কবি শঙ্খ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, আর কোনও সীমা রইল না অধঃপতনের৷ নিন্দা করার কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না৷মুখ খুলেছেন কবি সুবোধ সরকারও ৷ তাঁর ব্যাখ্যায়, ‘‘এ এক কালো দিন৷’’ তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার যেভাবে শিউরে উঠলাম, সেভাবে কখনও কেঁপে উঠিনি। এ কোন কলকাতা? এত কুৎসিত কলকাতা কোথায় লুকিয়ে ছিল? অমিত শাহর উপস্থিতিতে সেই কলকাতাই যেন বেরিয়ে এল। এরা কী আমাদের আর থাকতে দেবে শহর কলকাতায় ? যেভাবে আপনাকে চুরমার করে ফেলে গেল, যেভাবে বিদ্যাসাগরকে অপমান করল, বাংলাভাষাকে যেভাবে অপমান করে গেল, কলেজ স্ট্রিটে যেভাবে তান্ডব চালাল — এর চেয়ে কালো দিন আর কী হতে পারে? কিন্তু আমার বিশ্বাস বিদ্যাসাগরের প্রতিটা টুকরো থেকে জন্ম নেবে নতুন ভারতবর্ষ।’’ কবি জয় গোস্বামীর ব্যাখ্যা , এরা মানুষ? এরাতো বর্বর৷ এরা দেশ শাসন কী করে করবে ? সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো ছাড়া যারা কিছু বোঝে না তারা বিদ্যাসাগরের মর্ম বুঝবে? এতো ভাবাটাও অন্যায়৷
কবি শ্রীজাতও নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে ৷ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে তার ফেসবুক ওয়ালে তিনি লিখলেন – ভাষা আমার প্রেমের আখর। প্রতিবাদের ধারণা।মূর্তিটুকুই ভাঙতে পারো। বিশ্বাসকে পারো না।
অভিনেতা কৌশিক সেনের মতে, বিদ্যাসাগর ওদের পাঠ্যক্রমের বাইরে৷ তাই ওরা বিদ্যাসাগরের বোধ, চেতনা বুঝতে পারবে না৷ তাই এরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙবে না তো কারা ভাঙবে? কৌশিকবাবু নানা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধাচারণ করেছে৷ তবে এদিনের ঘটনার পর তাঁর উপলোব্ধি, বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশেই বিজেপির চূড়ান্ত পরাজয় চাইছেন তিনি৷