বিরাট সম্মান অনন্য এক শিল্পকর্মকে, ‘মাটির মানুষ’ সনাতন রুদ্রপাল বেশ আপ্লুত পদ্মশ্রী সন্মান পেয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবাক করা প্রতিমা, চোখ জোড়ানো শিল্পকর্ম দিয়ে তিনি কয়েকদশক ধরেই বাঙালির মনন-চিন্তা-সংস্কৃতি- আবেগকে ছুঁয়ে গিয়েছেন। তাঁর শিল্পের জাদুর খ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমান ভাবে জনপ্রিয়। কুমোরটুলির সঙ্গে শিল্পীর যেন নাড়ির যোগ। বাঙালীর আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছেন মৃৎ শিল্পী সনাতন রুদ্রপাল। তাঁর তুলির টানে মাটির প্রতিমা যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। থিমের ভিড়ে সাবেকিয়ানা বেঁচে রয়েছে তাঁর মত গুঁটি কয়েক শিল্পীর হাত ধরেই। পদ্মশ্রী সম্মান পেয়ে আপ্লুত শিল্পী সনাতন রুদ্র পাল। তিনি নিজের সেই মূহূর্তেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে। শিল্পী বলেন, ‘এত বিরাট মাপের সম্মান পাওয়া আমার কাছে ভাগ্যের ব্যাপার। এক কথায় আমি অভিভূত’।
তাঁর হাত ধরেই মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠে মাতৃপ্রতিমা। সেই প্রবাদ প্রতিম মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল বলেন, ‘এই সম্মান থিমের ভিড়েও তাঁর সাবেকিয়ানায় জয়’। ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শিল্পী বলেন, ‘এই সম্মান শুধু আমার নয়, আমার এই শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যেকেই সমান সম্মানের ভাগিদার।’
পদ্মশ্রী পুরষ্কারের কথা শিল্পী সনাতন রুদ্রপাল জানতে পারেন বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে থাকার সময়ই। শিল্পী বলেন, প্রথমে আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। আমার হাত-পা কাঁপতে শুরু করেছিল। অনেকেই আমাকে পুরষ্কারের আভাষ দিলেও যে মুহূর্তে আমি সম্মানের সংবাদ পাই আমি নিজেরর আবেগকে ধরে রাখতে পারিনি। একজন শিল্পীর কাছে এর থেকে বড় পাওনা আর কিছুই হতে পারে না। তিনি বলেন, শিল্পী হিসাবে এর আগেও অনেক সম্মান পেয়েছি। অনেক মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। তবে এই সম্মান সব কিছুর উর্ধ্বে। আমি এরজন্য ভারত সকারের কাছে কৃতজ্ঞ”।
সনাতন রুদ্র পালের বাবা মোহনবাঁশি রুদ্র পালও ছিলেন বিখ্যাত মৃৎ শিল্পী পদ্মশ্রীর পেয়ে ছেলেবেলার বাবার প্রতিমা গড়ার স্মৃতি বড্ড মনে পড়ছে শিল্পীর। পরিবারের সকলেই তাঁর কাজে বরাবরই অনুপ্রেরণা দিয়েছেন । উপহার পেয়ে আপ্লুত সনাতনবাবুর কথায়, “এই সম্মান আগামী প্রজন্মের শিল্পীদের ভাল কাজে আরও উৎসাহিত করবে”।