বিশেষ কমিটি আদানি কাণ্ডের তদন্ত করবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ! কী প্রতিক্রিয়া গৌতম আদানির?
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আদানি গ্রুপের শেয়ারে রীতিমত ধস নেমেছে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই। গৌতম আদানি এমনকি ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায়। এবার আদানি-হিন্ডেনবার্গের ইস্যুতে কমিটি গঠন করলো সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে ৬ জন থাকবেন এই কমিটিতে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে সেই রিপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি সেবি নিয়মের ১৯ নম্বর ধারা লঙ্ঘন হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ।
৬ সদস্যের এই কমিটিতে থাকবেন ওপি ভাট, নন্দন নিলেকানি, কেভি কামাথ, সোমশেখর সুন্দররেসান এবং বিচারপতি দেওধর। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভয় মনোহর সাপ্রে। দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সেবি এবং কমিটিকে। তদন্ত করে দেখতে হবে, সত্যি শেয়ার দরের ক্ষেত্রে কোন কারসাজি করেছে কিনা আদানি গ্রুপ । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি টুইট করেছেন গৌতম আদানি। যেখানে তিনি লিখেছেন, সত্যের জয় হবে। তবে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের কমিটি গঠনের বিষয়টিকে। গোটা বিশ্ব রাজনীতি জুড়ে এখন চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ নিয়ে। এমনকি আদানি গ্রুপের সম্পত্তির পরিমাণও কমছে হু হু করে । আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রচুর কারচুপির অভিযোগ রয়েছে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায়।
ভারতের শেয়ার বাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ সেবিকে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আদানি-হিন্ডেনবার্গের মামলার দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে সময় পাবে মাত্র ২ মাস। যদিও আদানি গোষ্ঠী বারংবার দাবি করে এসেছে, হিন্ডেনবার্গ পেশ করেছে ভিত্তিহীনএক রিপোর্ট। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি এবং আর্থিক প্রতারণার যে অভিযোগ রয়েছে গৌতম আদানি সেই বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না।
গত জানুয়ারি মাসে যেখানে আদানি ছিলেন বিশ্বের চতুর্থতম ধনী ব্যক্তি, সেখানে ফোর্বসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে তিনি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন ৩৮ নম্বরে। অপরদিকে আদানিকে টপকে গিয়েছে মুকেশ আম্বানি । তিনি এখন এশিয়ার শীর্ষ এবং বিশ্বের অষ্টমতম ধনী ব্যক্তি। আদানি গ্রুপ কিছুতেই রুখতে পারছে না শেয়ারবাজার ধস। হারানো সিংহাসন ফিরে পেতে লড়াই করলেও আশাজনক কোন ফল মেলেনি সেভাবে । উপরন্তু এতদিন ধরে যে লগ্নিকারীরা ঋণ দিয়েছিল তাদের আস্থা ফিরে পেতে এখন লোন পরিশোধ করতে হচ্ছে আদানি গ্রুপকে ।