রাতারাতি শয়ে শয়ে গরুর লাশ মিললো গ্রামের পাশের জঙ্গল থেকে ! ক্রমশ ঘণাচ্ছে রহস্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মধ্য প্রদেশের শিবপুরি জেলায় এক গ্রামের পাশে, জঙ্গলের সামনে পড়ে আছে গরুদের লাশ। একটি বা দুটি নয়, কয়েকশো! কীভাবে ওই মৃত গরুগুলি ওই স্থানে এল, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় প্রশাসন। বিস্তীর্ণ বনভূমি জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ২০০টিরও বেশি গরুর লাশ। ওই এলাকা এমনিতে খুব শান্ত। অপরাধের ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। সেখানে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি), সকালে ওই লাশগুলি দেখতে পান গ্রামবাসীরা। কীভাবে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক গরুর মৃত্যু হল, তা ভাবাচ্ছে গ্রামবাসী থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের। গরুগুলির মৃত্যুর কারণও অজানা। তাতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের সন্দেহ, সম্ভবত শহরাঞ্চল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ওই গরুর লাশগুলি। রাতের অন্ধকারে সেগুলিকে ট্রাকে করে জঙ্গলে এনে ফেলে দিয়ে গিয়েছে কেউ। কিন্তু, কারা? স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরি জেলার সিলারপুর নামে এক গ্রামে। গ্রামের পাশেই রয়েছে জঙ্গল। সেখানেই পাওয়া গিয়েছে গরুদের লাশগুলি। এই বিষয়ে অবিলম্বে প্রশাসনিক পদক্ষেপ চেয়েছেন সিলারপুর গ্রামের প্রধান। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে চার থেকে পাঁচশ গরুর লাশ পড়ে আছে। বিষয়টি জানানো হলেও এই নিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।” তবে, এই ঘটনা নিয়ে ঘুম উড়েছে প্রশাসনেরও। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আছেন স্থানীয় পশুচিকিত্সক ডা. ভাদিল জটাভ। তাঁর সন্দেহ, নিকটবর্তী কারাইরা পৌরসভা এলাকা থেকে ওই মৃত গরুগুলিকে ওখানে এনে ফেলা হয়েছে। সম্ভবত ওই বনাঞ্চলকে বেসরকারিভাবে ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ অর্থাৎ আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে, গরুগুলির মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। এই বিষয়ে বিভিন্ন তত্ত্ব উঠে এসেছে। মামলার তদন্তে যুক্ত এক পুলিশ কর্তার অনুমান, শীতের কারণে মৃত্যু হয়েথাকতে পারে গরুগুলির। তবে, সীতে কীভাবে একসঙ্গে এতগুলি গরুর মৃত্যু হল, বা কীভাবে তাদের দেহ ওই বনাঞ্চলে এসে উপস্থিত হল, তা এই তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়নি। অবহেলা বা কোনও অপরাধ গরুগুলির মৃত্যুর কারণ কিনা, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ওই পুলিশ কর্তা আরও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় যে মৃত গরুর দেহ ফেলা হয়, তা স্বীকার করেছেন পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু, এক সঙ্গে এতগুলি গরুর লাশ কোথা থেকে এল, সেটাই ভাবাচ্ছে সকলকে।