ভারত বরাবরই উদ্বিগ্ন ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে’, ভারতের বিশেষ বার্তা ভোটদান থেকে বিরত থেকেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইউএনজিএ-তে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তাই আরও একবার তুলে ধরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ বলেন, ‘মানুষের জীবনের মূল্যের আগে’। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ) বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে। এই প্রস্তাবে রাশিয়াকে বলা হয়েছে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে সেই সঙ্গে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কথাও। এই বিষয়ে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া বার্তাকেই ফের তুলে ধরে বলেন, ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত বরাবরই উদ্বিগ্ন’। আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমেই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে হবে।
রুচিরা কাম্বোজ আরও বলেন, কোন সমাধানে কখনোই পৌঁছানো সম্ভব নয় মানুষের জীবনের মূল্য দিয়ে। ভারত সবসময় বিশ্বাসী আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমেই সংঘাতের অবসানে। কাম্বোজ এও বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এর আগে একই কথা বলেন, তিনি বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়’!
ইউক্রেনকে নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের এই প্রস্তাবটি, সাধারণ পরিষদে ১৪১/৭ দ্বারা পাস হয়। ভারত চিন সহ মোট ৩২টি দেশ এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে। একই সময়ে এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সাতটি দেশ। ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে।
‘ ভারত বরাবরই উদ্বিগ্ন ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে’
কাম্বোজ আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত বরাবরই উদ্বিগ্ন’। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারত ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। যুদ্ধের ফলে অগণিত প্রাণহানি হয়েছে, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের। একই সঙ্গে এই সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে কম্বোজ বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্নের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন ‘আমরা কি রাশিয়া-ইউক্রেন উভয় দেশের কাছেই গ্রহণযোগ্য সম্ভাব্য সমাধানের কাছাকাছি আসতে পেরেছি?
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, এক বছর পূর্ণ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের । একই সময়ে, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে ইউক্রেনে একটি স্থায়ী শান্তিতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে । এদিকে ইউএনজিএ-তে ‘ঐতিহাসিক ভোটে’ দেশগুলো ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে। ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন এবং সাতটি দেশ এর বিরোধিতা করেন।