মণিপুরে হিংসার জন্য দায়ী একমাত্র বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি , বিজেপি ক্রমশ কোনঠাসা রাহুলের হুঙ্কারে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রবিবার আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে আরো একবার তুলোধোনা করেন কর্ণাটকে কথিত দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “নিরবতা” নিয়ে প্রশ্ন তুলে, । একই সঙ্গে তিনি এদিন কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মণিপুরে হিংসার ঘটনাতেও। তিনি বলেন, “মণিপুরের হিংসা বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির পরিচয়’। রাজ্যে “৪০ শতাংশ কমিশন” নিয়েও এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন। লোকসভায় আদানি ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যই প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংসদপদ খারিজ করেন বলেও তিনি মারাত্মক অভিযোগ তোলেন ।
বেঙ্গালুরুর কাছে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী এও বলেন, “কর্নাটকে গত তিন বছর ধরে বিজেপির সরকার রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী সচেতন রাজ্যের দুর্নীতি সম্পর্কে। তা সত্ত্বেও তিনি নীরব সেই নিয়ে। কর্ণাটকের ঠিকাদারদের সমিতিগুলি ইতিমধ্যেই দুর্নীতি কথা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের আবেদনে সাড়া দেননি বলেও সরব হন কংগ্রেস নেতা। রাহুল গান্ধী আরও বলেন,, “একজন বিধায়কের ছেলে নগদ 8 কোটি ঘুষ নিতে গিয়ে ধড়া পড়ে। তারপরও নীরব বিজেপি নেতৃত্ব। কর্ণাটকে যে দুর্নীতি হয়েছে তা জানে শিশুরাও পর্যন্ত ।”
এদিন আরও অভিযোগ করেন, “আমি দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেছি বলেই খারিজ করা হয়েছে আমার সংসদ পদ। পাশাপাশি তিনি এদিন অভিযোগ করেন বিধায়ক কেনা-বেচারও। মণিপুরে হিংসার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী এও বলেন, মণিপুর জ্বলছে । মানুষ খুন হচ্ছে। এ নিয়ে এতটুকুও চিন্তিত নন প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এদিন আরও বলেন, “মণিপুর হিংসা বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির ফল। আমাদের ‘ভারত জোড়া যাত্রা’ ছিল মূলত এই বিদ্বেষেরই বিরুদ্ধে।