মহারাষ্ট্রে ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬৬৪ টাকায়! দাম না পেয়ে জমিতেই নষ্টের পরিকল্পনার কথা ভাবছেন কৃষকরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুজোর মরশুমের দিকে চেয়ে থাকেন মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষিরা। অতিরিক্ত চাহিদা হলে দাম বাড়বে। আর তাতেই ফিরবে সুদিন। কিন্তু এবার সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে পেঁয়াজের পড়তি দাম। কেজি প্রতি এক থেকে দেড় টাকা বা তার থেকেও কম দাম মিলছে বাজারে। সেটা আর যা-ই হোক, চাষের খরচ তোলার পক্ষে যথেষ্ট নয়। মহারাষ্ট্রের অনেক কৃষকই এখন বলছেন, বাজারে বিক্রি করার থেকে মাঠেই ফসল নষ্ট করা ভালো। সুদাম ইংলের কথাই ধরা যাক। পুরন্দরের এই কৃষক পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বেশিরভাগ ফসল খেতেই নষ্ট হয়ে যায়। এরপরেও কিছুটা তিনি বাঁচাতে পেরেছিলেন। দেড় হাজার টাকা খরচ করে শুক্রবার সাড়ে সাত কুইন্টাল বা সাড়ে সাতশো কেজি পেঁয়াজ নিয়ে পুরন্দরের বাজারে বিক্রির জন্য গিয়েছিলেন সুদাম। আর তা বিক্রি করেছেন মাত্র ৬৬৪ টাকায়!

সুদামের মতোই অবস্থা টমেটো, বেদানা এবং আলু চাষিদেরও। বাজারে জলের দর দেখে সকলেরই মাথায় হাত। উৎসবের মরশুমে কৃষকদের হাতে টাকা নেই। এর জেরে ম্যাড়মেড়ে গ্রামীণ মহারাষ্ট্রের দীপাবলি। এক কৃষকের আক্ষেপ, ‘এই বছর দীপাবলি কেবল শহরেই পালিত হচ্ছে।’ মহারাষ্ট্রের কৃষকরা যাতে উৎপাদিত ফসলের উপযুক্ত দাম পান, তা দেখার জন্য রয়েছে এগ্রিকালচার প্রোডিউস মার্কেট কমিটি (এপিএমসি)। নাসিকের এক কমিটি সদস্য বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে একটি প্রদীপ কেনার মতো কারও সামর্থ্য নেই।’ কেন এই অবস্থা? লাসাগাঁও এপিএমসির এক সদস্য বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিলে বাম্পার ফলন হয়েছিল। তাই তখন দাম পড়ে যায়। অনেকেই ভালো দামের আশায় পেঁয়াজ রেখে দিয়েছিলেন। ছ’সাত মাস পরে সেই পেঁয়াজ তারা বাজারে ছাড়তে শুরু করেন। ইতিমধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে। এবারও ফলন অত্যাধিক। তাই দাম তলানিতে।’