মাত্রাতিরিক্ত কফি খান ? এখনই সাবধান হন অজানা বিপদ থেকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত ‘কফি’ দুই অক্ষরের এই ছোট্ট শব্দটির সঙ্গে। অফিসের স্ন্যাক্সে হোক কিংবা সকালের ব্রেকফাস্ট অথবা বিকেলের আড্ডা। ঠিক যেন জমে না এক কাপ কফি না হলে। অনেকে আবার একটানা বিরামহীন ভাবে কাজ করতে গিয়ে কয়েক কাপ কফিও পান করে ফেলেন সারাদিনে। তবে সারাদিনে প্রচুর কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। বরং ক্ষতিকারক। শরীরের নানারকম সমস্যা হতে পারে দিনে অতিরিক্ত কফি সেবনে। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন মোটেই ভালো নয় শরীরের জন্য।
আমেরিকান ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নালে জানিয়েছে, আপনি যদি ঘুম থেকে উঠে সরাসরি কফি পান করেন তাহলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, সারারাত শরীরে নানা রকম রাসায়নিক প্রক্রিয়া চলার কারণে অতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণ হয় পাকস্থলিতে। এই অবস্থায় গা গুলোতে থাকে ও বমির মতো সমস্যা দেখা দেয় খালি পেটে কফি পড়লে। তবে ডিনারের আগে কফি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই ফলস্বরূপ রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এতে। এই ক্যাফিন জাতীয় সফট ড্রিংকস গুলি এমনকি আমাদের নার্ভকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়।
এছাড়াও সারাদিনে অনেকেই দু চার কাপ কফি পান করে ফেলেন কাজের ফাঁকে হোক অথবা অবসর যাপনে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। এটা মোটেও করা যাবে। শরীরের পক্ষে মোটেও হিতকারক নয় সারাদিনে দু,এক কাপের বেশি কফি পান করা। বরং নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে একটানা বেশি কফি পানের অভ্যাস বজায় থাকলে ।ঘুমের পরিমাণও এমনকি কমে যেতে পারে৷ বাড়তে পারে স্ট্রেস। ফলে উত্তেজক পানীয় হিসেবে কফি পানের যেমন প্রয়োজন আছে তেমনই দরকার পরিমাণ বুঝে গড়ে তোলা খাওয়ার অভ্যাস।
এছাড়াও চা, কফি বা বিভিন্ন সফট ড্রিংকস খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে কারণে অকারণে। নচেৎ শরীরে মেদ যেমন বাড়বে রোগব্যাধি তেমনই বাড়বে বৈকি কমবে না। যত কাজের চাপই থাকুক না কেন রাতে ঘুমানের অভ্যাস করুন অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা। বরং ত্যাগ করুন দুপুরের ভাত ঘুমের অভ্যাস।পুষ্টিকর খাবার খান সারাদিন টুকটাক কাজের ফাঁকে চা কফিতে চুমুক না দিয়ে। এতে আপনারই হবে লাভ। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপ কমাতে চা কফির বদলে যোগাও করতে পারেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন অনেক উপকার মিলবে।