‘মানুষের প্রচুর উপকারে আসে’, অবশেষে স্বাস্থ্যসাথী বন্ধের দাবিতে মামলা খারিজ হল কলকাতা হাইকোর্টে!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

‘এই প্রকল্পকে অসাংবিধানিক বলার কোনও ভিত্তি নেই’। স্বাস্থ্যসাথীর বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘মানুষের কথা ভেবে সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে’। মূলত কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারতের আদলে এ রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকার চিকিত্‍সার সুযোগ মেলে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে নিতে পারেন সাধারণ মানুষ। সেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকেই অসাংবিধানিক অ্যাখ্যা দিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিকিত্‍সক কুণাল সাহা। তাঁর দাবি, এই প্রকল্প মানুষের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। প্রকল্পটি বাতিল করা হোক।

মামলাটি খারিজ হওয়ার কারণ ? হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘নির্বাচিত সরকার নিজেদের বিচার বিবেচনায় এই প্রকল্পের সূচনা করে। সরকার কীভাবে সেই প্রকল্প পরিচালনা করবে, সেই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না’।

এদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কত সাধারণ মানুষ, গবীর মানুষ বিনামূল্য়ে চিকিত্‍সা পাচ্ছেন। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিত্‍সা পাচ্ছেন। যাঁরা সরকারি কাঠামো চিকিত্‍সা করেন, তাঁরা জানেন এর মূল্য় কতটা। দিলীপ ঘোষের পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে খুশি। বহু সিপিএম কর্মী, বিজেপি কর্মী, কংগ্রেস কর্মীর পরিবার, যাঁরা রাস্তায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্বাস্থ্যসাথী-সহ সবকটি পরিষেবা গ্রহণ করেন। যারা আপত্তি করতে গিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের সমর্থনে যে রায় দিয়েছেন, এটা একেবারে মানুষের মনের কথা। মানুষের স্বার্থেই কাজটা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পক্ষেই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *