মৃতদেহ নয়, কফিন খুলতেই বেরিয়ে এল ৬৪ কেজি গাঁজা! ফুলবাড়িতে গ্রেফতার গৃহশিক্ষক সহ ৪
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কফিন। ভিতরে বসে কিছু শোকার্ত মুখ। সাধারণ নজরে দেখলে, বোঝার কোনও উপায়ই নেই। কিন্তু আসলে এই অ্যাম্বুলেন্সে করেই পাচার করা হচ্ছিল গাঁজা। তবে এতো আয়োজন ও অভিনয় করেও শেষ পর্যন্ত নিস্তার মেলেনি রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের থেকে। শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে মঙ্গলবার এক অভিযান চালিয়ে গাঁজা পাচারের এমনই এক অভিনব কায়দা বানচাল করলেন এসটিএফ-এর অফিসাররা। পাকড়াও করা হয়েছে এক মহিলা সহ মোট চার পাচারকারীকে। ধৃতদের নাম সমীর দাস, অপূর্ব দে, পাপ্পু মোদক ও সরস্বতী দাস। এদের প্রত্যেকেই কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা। অপূর্ব দে আবার গৃহশিক্ষকতা করে বলে জানা গেছে । আর অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে রাখা কফিনের ভিতর থেকে বেরিয়েছে ৬৪ কেজি গাঁজা। ওই অ্যাম্বুলেন্স ও কফিনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা থেকে অসম হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল ওই পাচারকারীরা। ছক ছিল, পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পেরিয়ে বিহারে ওই গাঁজা পাচার করার। আর এই পাচারের জন্য তারা ব্যবহার করছিল অ্যাম্বুলেন্সের মতো দেখতে একটি গাড়ি, যেটির রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রথমে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে একটি কফিনের মধ্যে ঠাসা হয় ৬৪ কেজি গাঁজা। এরপর পাচারকারীরা শোকার্ত আত্মীয় পরিজন সেজে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর বসে পড়ে। যে ব্যক্তি গাড়িটি চালাচ্ছিল, সেও ওই পাচারকারী দলের সঙ্গেই যুক্ত।
গাড়িটি থামাতেই ক্ষেপে যায় অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে থাকা মৃতের পরিজন সেজে থাকা পাচারকারীরা। তর্কাতর্কি শুরু করে দেয় অফিসারদের সঙ্গে। কিন্তু কোনও আপত্তিই শেষ পর্যন্ত আর ধোপে টেকেনি। সাদা কাপড়ে মোড়া কফিনের ঢাকনা সরাতেই চক্ষু চড়কগাছ। থরে থরে সাজানো ১৮ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার হয় কফিনের ভিতর থেকে, যার মোট ওজন প্রায় ৬৪ কেজি। সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাকড়াও করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে অভিযোগ করা হয় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত এনজেপি থানায়।