মৃতের চোখ উধাও হয়ে গেলো আরজি করের মর্গ থেকে, চুরির অভিযোগ তোলা হলো পরিবারের পক্ষ থেকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মর্গে মৃতদেহের চোখ খুবলে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল আরজি কর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে।মৃতের পরিবার এর পক্ষ থেকে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো ও হয়েছে এই ঘটনায় ।টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা শম্ভুনাথ দাস ১৫ অগস্ট নিজের বাড়ির সামনেই রাস্তায় পড়ে মাথায় গিয়ে গুরুতর আঘাত পান । সঙ্গে সঙ্গে ৬৯ বছরের শম্ভুনাথকে নিয়ে আসা হয় আরজি কর হাসপাতালে। ডাক্তাররা জানান, তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে । হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। রবিবার শম্ভুনাথ দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ মারা যান ।
যেহেতু রাস্তায় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে মারা গিয়েছেন শম্ভুনাথ, তাই নিয়ম অনুযায়ী পোস্ট মর্টেম ও করা হয় তাঁর মৃতদেহের। সোমবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষ হয়ে গেলে তাঁর পরিবারের লোক জনরা দেহ নিতে আসেন। তার পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন যে দেহ নিতে এসে তাঁরা দেখেন গোটা দেহ মোড়ানো রয়েছে কাগজে । সেই কাগজ খুলতেই দেখা যায় শম্ভুনাথের দুটো চোখই উধাও । তার পরিবর্তে সেখানে গোঁজা রয়েছে তুলো। মর্গের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান , ইঁদুরে চোখ খুবলে নিয়েছে।
এ কথা শোনার পর শম্ভুনাথের পরিবার টালা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায় । তারপর দেহ ফের আরজি কর হাসপাতালের মর্গে এনে রেখে মর্গের কর্মীদের তালা দিয়ে বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে টালা থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন । পুরো এলাকা পুলিশ ব্যারিকেড করে ঘেরাও করে দেয়। পরিবারের দাবি, কর্তৃপক্ষকে লিখিত দিতে হবে কে বা কারা চোখ খুবলে নিয়েছে। এবং সেই অনুযায়ী দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
শম্ভুনাথের দুই ছেলে শ্রীকান্ত ও সুকান্ত দাস। শ্রীকান্ত জানিয়েছেন, “আমাদের ডেকে আলোচনা করে পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ বলেছে, আপনাদের অভিযোগ সত্যি। চোখ খুবলে নেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এ কাজ করেছে, তা জেনে কঠোর শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।”আরজি করের এক চোখের ডাক্তার জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি মারার যাওয়ার চোখ ভালো থাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবধি । তার মধ্যে যদি কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলে তা সফল হয়।