যাবতীয় রোগ-বালাই সেরে যেত পেরুর এই হ্রদের জলে স্নান করলে ! এমনকি ছুটে আসত বিত্তশালী লোকেরাও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পেরু প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় একটি দেশ । দেশটির নাম শুনলেই ইনকা সভ্যতার সবচেয়ে বড় নিদর্শন মাচু পিচ্চুর কথা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কিন্তু শুধু কি মাচু পিচ্চুই? প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে ভীড় জমান রংধনু পাহাড় কিংবা নাজকা লাইন দেখার জন্যও। এছাড়াও একটি নগরী রয়েছে পেরুর উপকূলীয় সেচুরা মরুভূমিতে, যার নাম হুয়াকাচিনা। মরুভূমির মাঝখানে অবস্থানের জন্য এটিকে প্রকৃতির এক বিস্ময় বলা হয়ে থাকে, কেউ কেউ একে আবার বলে থাকে একখণ্ড স্বর্গও!
তবে জল নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না মরুভূমির মাঝখানে অবস্থিত হলেও। কারণ স্বচ্ছ এক জলধারার দেখা পাবেন এর মাঝখানেই। আপনি চাইলে সাঁতার কাটা বা নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন সবুজ গাছগাছালিতে পূর্ণ এই জলধারায়। তো, কিভাবে এই জলধারা সৃষ্টি হল মরুভূমির বুকে অনেক প্রচলিত গল্প রয়েছে তা নিয়েও। বলা হয়ে থাকে ইনকা রাজকন্যা একজন সুদর্শন যুবককে প্রচণ্ড ভালোবাসত বহু বছর আগে। কিন্তু পরবর্তীতে হঠাত্ করে সে যুবক মারা গেলে তার ভালোবাসার মানুষের মৃত্যুতে রাজকন্যা এত বেশি কাঁদলেন যে, পরবর্তীতে সেই জলধারা সৃষ্টি হয় তার চোখের জল থেকেই। এছাড়াও রয়েছে আরো কিছু জনশ্রুতি। তবে সবগুলোতেই ইনকা রাজকন্যার কথাই বলা হয়েছে।
আর হ্যাঁ, রাতের বেলায় এই হুয়াকাচিনা যেন পুরোপুরি পাল্টে গিয়ে নগরী জুড়ে এক অদ্ভুত সৌন্দর্যে আবির্ভূত হয় আলোর বিচিত্র প্রদর্শনীতে। তবে একটা সময় ছিল, যখন সেখানকার মানুষের মনে এক অলৌকিক বিশ্বাস জন্ম এই জলধারাটিকে নিয়ে নেয়। তাদের বিশ্বাস ছিল- বিভিন্ন রোগবালাই সেরে যায় এই হ্রদের জলে স্নান করলে। যেকারণে পেরুর বিত্তশালী লোকেরাও এই হ্রদে স্নান করতে ছুটে আসত বহু দূরদূরান্ত থেকেও!