রাজ্য সরকার ঘরোয়া পর্যটনে বিশেষ জোর দিতে চাইছে সবরকম বিধিনিষেধ উঠলেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গত বছর থেকেই এ রাজ্যের পর্যটন শিল্প জোর ধাক্কা খেয়েছে করোনাভাইরাসের জেরে । দিঘা, মন্দারমণির মতো জায়গায় ভিড় দেখা গিয়েছিল গত বছরের মাঝামাঝি পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হওয়ায়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের পর্যটন শিল্পে জোর ধাক্কা দিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আবার বছরের শেষে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রায় দু’বছর ধরে বিদেশি পর্যটকরা এ রাজ্যে আসছেন না। প্রতিবছর গড়ে প্রায় বাংলায় আসেন ১৬ লক্ষ বিদেশি পর্যটক। বিদেশি পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ রয়েছে করোনার প্রভাবেই। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবার ঘরোয়া পর্যটনে বিশেষ জোর দিতে চলেছেন পর্যটন শিল্পের ধাক্কা সামলাতে।
মূলত হোম স্টে, ভিলেজ ট্যুরিজম, বিচ ট্যুরিজম, বার্ড ওয়াচিং ও ট্রেকিংয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে ঘরোয়া পর্যটনকে উত্সাহিত করতে। রাজ্য সরকার পুজোর মধ্যেই সেরে ফেলতে চাইছে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ৬ লক্ষ কর্মীর টিকাকরণ। রাজ্য সরকার ফের পর্যটন কেন্দ্রগুলি চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরই।
গতবছরের অভিজ্ঞতা থেকে এবারও রাজ্য সরকার মনে করছে, এবারও কড়াকড়ি উঠে গেলে রাজ্যের পর্যটনস্থলগুলিতে ভিড় জমাবেন পর্যটকরা। তাই প্রতিটি টুরিস্ট লজকে তৈরি করা হচ্ছে সংস্কার করে।রাজ্য পর্যটকদের সামনে নতুন করে তুলে ধরতে চাইছে সুন্দরবন, বকখালি, সাগর, শান্তিনিকেতন, দিঘা, মন্দারমণি, বিষ্ণুপুর ও মুর্শিদাবাদকেও। উত্তরবঙ্গেও সংস্কার করা হচ্ছে শিলিগুড়ি থেকে ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে থাকা পর্যটনস্থলগুলিকেও। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এমনকি বন বাংলোগুলিকেও।