রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন গাইডলাইন দিল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ :ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে যেমন টাইপের ভুল থাকে কোনও কোনো ক্ষেত্রে , তেমনই কোনও ক্ষেত্রে আবার ভুল থাকে টেস্টের রিপোর্টেও।ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে (WBCERC) এমনই বিভিন্ন ধরনের ভুরি ভুরি অভিযোগ দায়ের হচ্ছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিরুদ্ধে। আর যার জেরেই , রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন গাইডলাইন তৈরি করে দিল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্টের জন্য। এমনকি অনেক অভিযোগ আসে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট নিয়েও। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনে হয়েছে এ রকম সাতটি অভিযোগের শুনানি। এই সাতটি অভিযোগের মধ্যে চারটি প্যাথলজি এবং তিনটি অভিযোগ রেডিওলজি সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে। কমিশন এও জানিয়েছে, এই অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা গাইডলাইনেরই মতো।
রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন, জাস্টিস (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টেস্টের রেজাল্টের ক্ষেত্রে গন্ডগোল যেখানে আছে, সেখানে আমরা বলেছি, যদি পেশেন্ট পার্টি এসে বলেন, তাঁর চিকিৎসক বলছেন রিপোর্ট ঠিক হয়নি, তখন আরও একবার বিনামূল্যে ওই টেস্ট করে দেওয়া উচিত। ওই পেশেন্ট পার্টি যদি ওই একই টেস্ট বাইরে থেকে করান, তাহলে বাইরে থেকে করা ওই টেস্টের খরচ এবং আগের টেস্টের খরচ, এই দুটো খরচ-ই ফেরত দেওয়া উচিত প্রথম ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে। কিন্তু, টাইপের ভুল যদি হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্যাথলজিক্যাল সেন্টারকেই। মোটামুটি আমরা তৈরি করেছি এই রকম একটি গাইডলাইন।”
কমিশনের চেয়ারপার্সন, জাস্টিস (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “এই তিনটি কেসের ক্ষেত্রে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, প্রদীপকুমার দেবেরও। এই তিনটি কেস আমরা একসঙ্গে রেখেছি। পেশেন্ট পার্টিদের জমা দিতে বলা হয়েছে এক্স-রে প্লেট, আল্ট্রাসাউন্ডের ছবি।বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পেলে এবং এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে এই অভিযোগের বিষয়ে।”