‘রাত হলেই মেয়ে আর মদ…’, ভাতের হোটেল বাংলা আর বিয়ারে ঠাসা তেহট্টে!
বেস্ট কলকাতা নিউজ :রাত বাড়লেই পাড়ায় কার্যত মদের আসর বসে যায়। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বিশাল আয়োজন। ছেলে মেয়ের ভিড় হতে থাকে। পাড়ার মধ্যে এসব মানতে নারাজ বাসিন্দারা। সোমবার রাতে তাঁরাই ময়দানে নামেন। সঙ্গে তেহট্ট থানার পুলিশও। বেআইনি মদের ভাটিতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয়। নদিয়ার তেহট্টের ঘটনা। এলাকার মহিলাদের বিক্ষোভে ভয় পেয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান বিক্রেতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে উত্তপ্ত হয় তেহট্টের বেতাই এলাকা।
এখানে বিআর আম্বেদকর কলেজের আশেপাশে প্রচুর ছোট ছোট হোটেল আছে। অভিযোগ, হোটেলের নাম করে বেআইনি মদের দোকান চলে। দেশি মদ থেকে বিলিতি, সব পাওয়া যায়। কলেজে এসে পড়ুয়ারা মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রেণুকা মল্লিকের কথায়, “মদের জ্বালায় টেকা যায় না। ছেলে মেয়ে সব মদ খায়। আমরা এটা মেনে নিতে পারব না। আমাদের ঘরে বড় মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে তো বলবে মাতাল পাড়া। মেয়েদের তো বিয়ে হবে না। ২ বছর ধরে এই অত্যাচার আর নেওয়া যাচ্ছে না।”
আরেক বাসিন্দা মীরা গোস্বামী বলেন, “রাত হলেই অসভ্যতামো শুরু। মেয়ে নিয়ে আসে। কারও দরজায় বমি, কারও দরজায় পায়খানা বাথরুম করে রেখে যায়। আমাদের পাড়ায় এসব চলবে না। সবাইকে বলেছি। কাজ হয় না। তাই আমরা মহিলারা নেমেছি রাস্তায়।” সূত্রের খবর, কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বেতাই নতুন বাজারে কৃষ্ণনগর করিমপুর রাজ্য সড়কের দু’পাশে গজিয়ে উঠেছে বেশ কিছু খাবার হোটেল। সেখানেই মদ বিক্রির অভিযোগ তুলছেন এলাকার লোকজন। শুধু মদ নয়, মদের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নানা খাবারও থাকে।
এদিকে বাজার কমিটির সেক্রেটারি পার্থ বিশ্বাস বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা পদক্ষেপ করবে বলেছিল। তবে পাড়ার মহিলারা আজ অভিযোগ করেন, পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। অথচ কোনও কাজ করছে না। আমি এসে দেখি ঘরে তালা। ভিতরে ফ্যান চলছে। আমি আইসিকে জানাই। পুলিশের টিম এসে দেখে ভিতরে মদের বোতল আছে।” এলাকার লোকজনের কথায়, বাজার কমিটি, পুলিশ সকলকেই জানানো হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, অবৈধ মদের ব্যবসায় মহিলারাও যুক্ত। সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।