শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, ঘোষনা করলেন বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের এবং নতুন বছরের জন্য ঘোষনা করলেন বেশকিছু উপহারেরও
শিলিগুড়ি : কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে একশো দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা সেটা দিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকেই। প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ করে দিয়েছে সাস্থ্য খাতের টাকা। পনেরো লক্ষ টাকা দেবার ঘোষনা করেও মুখ লুকিয়ে বসে আছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরী কমছে আর বাড়ছে রাজ্য সরকারের চাকরি। আমরা দিচ্ছি টাকা কন্যাশ্রী এবং লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। আর বিজেপী বন্ধ করে দিয়েছে সমস্ত টাকা। সমস্ত টাকা বন্ধ করে দিয়ে ভোটের আগে দিচ্ছে বিনামুল্যে মানুষকে রেশন। আর ভাবছে মানুষ ভুলে গিয়ে ভোট দেবে বিজেপীকে, কিন্তুু সেটা হতে দেবে না মানুষই।বিজেপী আর জিততে পারবে না।
ইউক্রেনে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে গিয়ে কেন্দ্র পিছিয়ে গেলেও রাজ্য পিছিয়ে যাননি । মুখ্যমন্ত্রী আরোও বলেন যে যেখানে পড়তে যাবেন, চাকরী করতে যাবেন যান আমরা আছি পিছনে। বসতির মানুষের নাম পরিবর্তন হয়ে হবে ” স্থায়ী ঠিকানা “।তারাও পাবেন জমির পাটটা। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন অপপ্রচার না করে কাজ করুন মানুষের জন্য।আর সব সময় পজিটিভ মনে কাজ করবেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান উত্তরবঙ্গ একদিন বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হবেন। পনেরো তারিখ থেকে তিরিশ তারিখ হবে দুয়ারে সরকার এবং যাদের যাদের আবেদন করা আছে টাকা পাচ্ছেন না, আমার অনুরোধ আপনারা দুয়ারে সরকারে যান এবং আবেদন করুন। মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান যারা যারা লক্ষীর ভান্ডার পাচ্ছেন তারা তাদের ষাট বছর হয়ে গেলে লক্ষীর ভান্ডার থেকে বয়ষ্ক ভাতা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানিয়ে ঘোষনা করলেন নতুন বছর থেকে নতুনভাবে শুরু হবে লক্ষীর ভান্ডারের। আমার কাছে প্রায় নয় লক্ষ আবেদন পত্র আছে আমি দেখছি নতুন করে। সবাই পাবেন কোন চিন্তা করবেন না। তিনি আরো জানান বাংলার মানুষের পাশে তিনি আছেন, এবং তিনি দেখবেন বাংলার মানুষ যাতে কোনভাবেই বঞ্চিত না হয়।
সবাই কাজ করুন নিজের পায়ে দাড়ান এবং মানুষের মতন মানুষ হোন আজ ছাত্রছাত্রীদেরকে এই ভাবেই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।তিনি বলেন বাবা মায়ের কথা শুনে পড়াশোনা করে মানুষের মতন মানুষ হও।তবেই বাংলার সুনাম হবে। রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে যাতে সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ এবং সুবিধা মানুষ মানে বাংলার মানুষ পায়। আগামীদিনে এই সব প্রকল্পের সুযোগ পেয়েই বাংলার ছেলেমেয়েরা নিজের পায়ে দাড়িয়ে মানুষের মতন মানুষ হবেন। মুখ্যমন্ত্রী যাবার আগে জানিয়ে আবার আসবেন। সবাইকে ভালো থাকতে এবং ভালো রাখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কলকাতা যাবার কারনেই কিছুটা দ্রুতই শেষ হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। শেষে সবাইকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেই সভার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত নেতৃত্ব। যাবার আগে মেয়রকে কিছু নির্দেশ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই দেখবার মতন। তাদের সাথে বক্তব্যের মাঝে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীদিনে তাদের জন্য বেশ কিছু উপহার আসছে সেটাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিয়ের পর্ব শেষে আজকের মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা শিলিগুড়ি। আজকে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সেই আশা এবং আগ্রহ কিছুটা হলেও মিটিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ।