শীত পড়তেই চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে পাটালি গুড়ের
শিলিগুড়ি : শীত এলেই একসময় শহরের অলিগলিতে খেজুর রস বিক্রেতারা হাঁড়ি কাঁধে রস নিয়ে ঘুরে বেরাতেন। কিন্তু এখন তা প্রায় অতীত। পরিস্থিতি বদলেছে। শীতের আমেজ পড়তেই শহরের বাজারে বেড়েছে পাটালি গুড়ের চাহিদা। শহরের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে, এবং শিলিগুড়ি শহরের বাইরেও বিক্রি হচ্ছে পাটালি গুড়। এদিকে বিধান মার্কেটের এক বিক্রেতা ফিরোজ মহালদার জানান, ‘মুর্শিদাবাদ ও বসিরহাটের জলঙ্গি অঞ্চল থেকে গুড় আসছে শিলিগুড়িতে।’ শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার বিক্রেতা সুবল বসাকের বক্তব্য, ‘প্রত্যেক বছর ১০০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কিলো গুড় বিক্রি করি। সবরকম দামে পাওয়া যায় বলে এখন পাটালি গুড়ের চাহিদা অনেক বেশি। বিক্রিও দেদার। মুর্শিদাবাদ জলঙ্গির পাটালি গুড়ের দাম বর্তমানে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কিলো, বসিরহাটের পাটালি গুড়ের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।’
তবে মুর্শিদাবাদ জলঙ্গির গুড়ের চাহিদা বেশি স্বাদ ও গুণগতমানের জন্য। জয়ন্তকুমার সিংহ নামে এক ক্রেতার কথায়, ‘রসের খেজুর গুড় এখন অতীত। আগের মতন আসে না। তবে স্বাদে গন্ধে পাটালি গুড় অনেকটাই এক। দাম সাধ্যের মধ্যে। মরশুম পড়তেই পাওয়া যায়।’ নিজেকে খাদ্যরসিক বলতে ভালোবাসেন ক্রেতা প্রবীর রবিদাস। তাঁর মতে, ‘শীতকালীন বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরি করতে পাটালি গুড়ের ব্যবহারও বেড়েছে। সহজেই বাজারে পাওয়াও যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা গুড়ের দামও তুলনামূলক সাশ্রয়ী।’ স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রাকৃতিক এই গুড় শীতকালে শারীরিক শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। ফলে আরও বেশি মানুষ এটি কিনতে আগ্রহী, এমনই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। আরো পড়বে শীত , তাই আরো বাড়বে বিক্রি ঠিক এমনটাই মনে করছেন গুড় বিক্রেতারা।