শুভেন্দু-মমতাকে মিলিয়ে দিল বঙ্গভঙ্গ ইস্যু, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গলায় শোনা গেলো মুখ্যমন্ত্রীর সুর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিন কয়েক আগেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলা ভাগের দাবি তুলে সংসদে জোরালো সওয়াল করেন। এরপর থেকে একের পর বিজেপি নেতা বিধায়ক বঙ্গভঙ্গ নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন। কেউ দাবি করেছেন কোচবিহারকে আলাদা করার তো কেউ আবার তুলেছেন মালদা, মুর্শিদাবাদ নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি। এবার বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে মমতার সুরেই সুর মেলাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে বিধানসভায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে দলের সাংসদ-বিধায়কদের মুখে ঘুরে ফিরে আসছে বাংলা ভাগ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি ৷ এদিন তার তীব্র বিরোধীতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে মমতা বলেন, “বলার জন্য বলছে। হাতে ক্ষমতা আছে বলেই ছুড়ি চালাবেন ! এটা হতে পারে না। আমি মনে করি গণতন্ত্রে এখনও শ্রেষ্ঠ আদালত জনগণই। ভাগাভাগির প্রশ্ন কোনওভাবেই মানা হবে না।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রেজোলিউশন আনা হোক। বাংলা ভাগ নিয়ে আলোচনা করছেন যে মন্ত্রীরা, যে সাংসদরা তাদের কিছু বলার থাকলে তারা বাংলার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলুন। ভোটাভুটি হোক। কার ভোট বেশি পরে কার ভোট কম গণতান্ত্রিকভাবে বিচার হয়ে যাক। বাংলার বিধানসভাকে বাদ দিয়ে যারা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা নির্বোধের দল। তাদের একটি কথাও আমরা মানি না।”
এদিকে গতকাল বিধানসভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি পরিষ্কার স্ট্যান্ড আমরা বঙ্গভঙ্গ, বাংলা ভাগ, আলাদা রাজ্য এইসব চাই না, দলগতভাবে আমি বলতে পারি। আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার, হিন্দু পরায়ণ রুখতে অবিলম্বে অনুপ্রবেশকারীদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদেরকে ঘাড় ধরে বের করে দিতে হবে। ৭২টি জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে জমি দিতে হবে। উত্তরবঙ্গের AIIMS, IIT সহ উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা নিরসনে অবলিম্বে রাজ্যসরকারকে কাজ করতে হবে”।