সকালে চালু থাকে হাসপাতাল, রাতে বসে এমনকি মদের আসর, চাষ হয় মুরগিরও , এক ভয়াবহ ছবি এই প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সকালে এই ধরুন দু থেকে তিনঘণ্টার বড়জোড়, ততক্ষণই চলে আউটডোরে চিকিৎসা। আর তারপরই বদলে যায় চিত্র। সময় যত বাড়ে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে বসে নাকি মদের আখড়া। এলাকাবাসী তেমনটাই অভিযোগ করেছেন। শুধু কী তাই,আবার চাষ হচ্ছে মুরগিরও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দিনের পর দিন অভিযোগ করার পরও কোনও পদক্ষেপই করেনি প্রশাসন। ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালিতে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ দফতরের একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। মূলত, এখানকার যে সকল মৎস্যজীবীরা সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়ে বাঘের আক্রমণে আহত হন, তাঁরাই আসেন চিকিৎসা করাতে। কারণ, ঝড়খালি থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বাসন্তী ব্লক নতুবা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। তাই চিকিৎসার জন্য অত দূরে নিয়ে যাওয়া সব সময় সম্ভব হয় না। সেই কারণেই স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগী হয়ে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি নতুন ভবন তৈরি করেন।
এক বৃদ্ধ বললেন, “কফের পরীক্ষা করতে এসেছিলাম। দুবার ডাক্তার দেখাব বলে এসেছিলাম। ঘুরে গিয়েছে। ডাক্তারই যদি না আসে দেখাব কাকে?” আরও এক বাসিন্দা বলেন, “বেড আসে। আলো আসে। সব আসে। অথচ কেউ থাকতে চায় না।” চিকিৎসক বিএমওএইচ বাসন্তী ডাঃ অমিত বেরা বলেন, “আমি স্টাফদের থেকে খবর নেব। আমি জানতাম না। তবে ওখানে লোকবলের অভাব রয়েছে জানি।” অভিযোগ, সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রেরই এখন ভয়াবহ অবস্থা। নতুন ভবনে এখনও পড়ে আছে সমস্ত চিকিৎসার সরঞ্জাম। ১০ টি বেড। একটি ইলেকট্রিক জেনারেটর। কিন্তু সে সমস্ত শুধুমাত্র পড়েই আছে, তা ব্যবহৃত হয় না রোগীদের সেবায়।