সঙ্গীদের বিশ্বাসঘাতকতাই ধরিয়ে দেয় শীর্ষনেতা বাসবরাজুকে, এমনটাই দাবি করা হল এক মাও বিবৃতিতে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাওবাদী নেতা বাসব রাজুর খোঁজ পুলিশকে দিয়েছিল মাওবাদীরাই ৷ তাঁর মৃ্ত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্তর্ঘাত ৷ বহু মাওবাদী সদস্য পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল ৷ তারাই অবুঝমাড়ের গভীর জঙ্গলে মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেশব রাওয়ের অবস্থান পুলিশকে বলে দিয়েছিল ৷ বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল ৷ সেই সন্ধান হাতে পেয়ে সম্প্রতি ছত্তিশগড়ে বড়সড় এনকাউন্টার করে নিরাপত্তাবাহিনী ৷ কেশব রাও ওরফে বাসব রাজুকে জীবিত অবস্থায় ধরেছিল এবং পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ৷ সোমবার একটি বিবৃতিতে এই দাবি করেছেন সিপিআই (মাওবাদী) দণ্ডকারণ্যম স্পেশাল জোনাল কমিটির মুখপাত্র বিকল্প ৷

গত ২১ মে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানায় অবস্থিত নারায়ণপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সিপিআই (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসব রাজুর ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ দাবি করেছে, ওই অভিযানে ২৭ জন মাওবাদী প্রাণ হারিয়েছে ৷ যদিও মুখপাত্র বিকল্প দাবি করেছেন, কেশব রাও-সহ মৃত মাওবাদীদের সংখ্যা ২৮ ৷ একটি দেহ পুলিশ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ৷

বিকল্প ওই বিবৃতিতে জানান, “গত ছ’মাস ধরে অবুঝমাড়ের জঙ্গলে দাদার (বাসব রাজু) লোকেশনে নজর রাখছিল পুলিশ ৷ তারা জেনে গিয়েছিল দাদা কোথায় রয়েছেন ৷ যে সব মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইউনিটের সদস্য ৷ তারাই পুলিশকে বাসবরাজুর কোথায় থাকতে পারে, তা জানিয়ে দিয়েছিল ৷ সেই তথ্য নিয়ে পুলিশ জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ কিন্তু প্রাথমিক তল্লাশিতে তারা ব্যর্থ হয় ৷”

গত ১৭ মে থেকে ওরসা, নারায়ণপুর, কোনদাগাঁও, দান্তেওয়ারা এবং বিজাপুরের পুলিশ বাহিনী অবুঝমাড়ের জঙ্গলে বাসবরাজুর এলাকা ঘিরে রেখেছিল ৷ ২০ হাজার জওয়ান ছিল সেখানে, জানিয়েছেন মাওবাদী মুখপাত্র বিকল্প ৷ ওই বিবৃতিতে বিকল্প আরও জানিয়েছে, “১৯ মে পাঁচটি এনকাউন্টার হয়েছিল ৷ কিন্তু কারও মৃত্যু হয়নি ৷ ২১ মে খুব ঘনঘন গুলিগোলা চলতে থাকে ৷ মাওবাদীদের একেবারে ঘিরে রাখা হয়েছিল ৷ তাদের কাছে খাবার, জল কিছুই ছিল না ৷ ৬০ ঘণ্টা তারা এভাবে কাটিয়েছিল ৷ দলে ছিল মাত্র ৩৫ জন ৷ তাও তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে ৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *