সতর্ক হোন ডিম ফাটিয়ে এই রঙ বেরোলেই ! ফুড পয়েজেনিং এর আশংকা শরীরে গেলেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ডিম হলো একটি অন্যতম রোজকার ডায়েটে রাখা স্বাস্থ্যকর খাদ্য গুলির মধ্যে। যা এমনকি প্রিয় ছোট থেকে বড়ো সকলেরই। তাই তো সমগ্র ডিম প্রেমী পাত জমায় ব্রেকফাস্টের ডিম টোস্ট থেকে শুরু করে লাঞ্চে ডিমের ঝোল বা কষায়। এতে আছে এমনকি ১৩ টা আলাদা আলাদা ভিটামিন, খনিজ, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা মজবুত করে শরীরে ইমিউন সিস্টেমকেও, নিয়ন্ত্রণে রাখে এমনকি ব্লাড সুগার, আরো কত কী।কিন্তু এই ডিমই আবার বিপদেও ফেলতে পারে আপনাকে। হতে পারে এমনকি আবার নানান ক্ষতিও। কীভাবে ? জানাচ্ছেন চিকিত্সকেরা। চিকিত্সকদের মতে ডিম যেমন উপকারী তেমনই আবার ক্ষতিকরও। কারণ ডিমে রয়েছে একধরণের ব্যাকটেরিয়া যা নানান ক্ষতি করে শরীরের,আবার ফুড পয়েজনও হতে পারে। তাই সবার আগে জানতে হবে সঠিক ডিম চেনার উপায়।
কিন্তু কীভাবে? এবার জেনে নিন কিছু টিপস
১. সবার আগে ডিমের সঠিক রঙ সম্পর্কে জানতে হবে ডিম ব্যাকটেরিয়া মুক্ত কিনা সেই হদিস পেতে গেলে। চিকিত্সকদের মতে সবসময় হলুদ হওয়া উচিত ভালো পুষ্টিকর ডিমের কুসুমের রঙ এবং বাকি অংশটা হবে গাঢ় সাদা। ঘোলাটে রঙ হলে তা না খাওয়াই ভালো।
২. ডিমের পোচ বা ওমলেট করার সময় ডিম ভাঙার পর যদি দেখেন তার রঙ খানিক গোলাপী বা লালচে ধরণের তবে তা না খাওয়াই উচিত। এতে সম্ভবনা থাকে ব্যাকটেরিয়া থাকার। যা খেলে ফুড হতে পারে এমনকি পয়জনও।
৩. এছাড়াও ডিমের কুসুমের রঙ গাঢ় হলুদও হওয়া উচিত নয় চিকিত্সকদের মতে । সেক্ষেত্রে সম্ভবনা থেকে যায় ব্যাকটেরিয়া থাকার।
এছাড়াও ডিম সেদ্ধ খেতে পছন্দ করেন অনেকেই ডিম ভাঙা যাবেনা সেক্ষেত্রে অথচ ডিমের সঠিক রঙ ও বোঝা যায়না বাইরে থেকে। তাহলে কিভাবে বুঝবেন? জানুন সেই উপায়।
১.বড়ো পাত্রে জল নিয়ে তাতে ডিম দিয়ে দিন সেদ্ধ করার আগে। জলের নিচে ডিম চলে গেলে বুঝবেন ডিমটি ভালো। আর যদি ডিম জলে ভেসে থাকে তবে বুজে নিতে হবে সেই ডিম পঁচা। ভুলেও খাবেন না।
২. কানের কাছে ডিম নিয়ে ভালো করে ঝাঁকান সেগুলো। যদি বেশি আওয়াজ হয় তবে বুঝবেন সেই ডিম পঁচা।
৩. এছাড়াও ভালো ডিম চেনার আরো একটি উপায় হলো লেজার লাইট। অর্থাত্ একটি অন্ধকার ঘরে মোমবাতি কিংবা টর্চের আলো জ্বালিয়ে তাতে ডিম নিয়ে দেখুন, ভেতরের তরল অংশ যদি বেশি নাড়াচাড়া করে তবে তা পঁচা বা ব্যাকটেরিয়া যুক্ত।