সন্তান হারা পরিবারকে লোহার রড দিয়ে মার্ ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করায়, আটক ২১ অভিযুক্ত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সদ্য ছেলেকে হারিয়েছেন। শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার। এদিকে বাড়ির নীচেই চলছে গণেশ উৎসব। প্রতিমা বিসর্জনের আগে ডিজে বাজিয়ে চলছিল উদ্দাম নাচ। শোকের পরিবেশে তারস্বরে গান না বাজানোর অনুরোধ করেছিলেন পরিবারের কর্তা। ব্যাস, তাতেই রেগে লাল পাড়ার ‘দাদা’রা। প্রতিমা বিসর্জন সেরেই তাঁরা চড়াও হলেন ওই পরিবারের উপরে। রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করলেন পরিবারের সকলকে। ছাড় পেলেন না সত্তরোর্ধ্ব মা-বাবাও।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেয়। শুক্রবার এই মারধরের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁদের গান বাজাতে বারণ করায় এক পরিবারের সকল সদস্য়দের বেধড়ক মারধর করেন তারা।
জানা গিয়েছে, মারধরের ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহের রবিবার। পিম্পরি চিনচাওয়াদের গণেশ নগরের বাসিন্দা সুনীল প্রভাকর শিন্ডের ছেলে দিনদুয়েক আগেই একটি দুর্ঘটনায় মারা যায়। পুত্রশোকে বিহ্বল ছিলেন ওই ব্যক্তি। এমন সময়ই বাড়িতে হাজির হয় ‘পাড়ার দাদা’রা। তাঁরা জানান, গণপতি বিসর্জন উপলক্ষে তাঁর বাড়ির সামনে ডিজে বসানো হচ্ছে।
বাড়িতে যেখানে সবাই শোকাতুর, সেখানে উচ্চস্বরে গান না বাজানোরই অনুরোধ করেন ওই ব্যক্তি। যদিও তাঁর আপত্তিতে আমল করেনি অভিযুক্তরা। ধুমধাম করে গণেশ বিসর্জন হয়। তার আগে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে ডিজের অত্যাচার।
বিসর্জনের পর সুনীল শিন্ডের বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। ২১ জন মিলে সুনীল শিন্ডে, তাঁর ভাই, মা-বাবা ও গাড়ির চালককে বেধড়ক মারধর করে। লোহার রড, লাঠি ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁদের আঘাত করা হয়। সকলেরই গুরুতর চোট লাগে। পরে ওই ব্য়ক্তি গিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানালে অভিযুক্ত ২১ জনকেই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।