সরকারি কমিটির সদস্য করুন, প্রকাশ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে ৫০০০ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠলো রাজস্থানে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তিনি সরকারি স্কুলের শিক্ষক ৷ বড় সাধ স্কুল সিলেবাস তৈরির কমিটিতে জায়গা পাবেন ৷ তার জন্য জনসমক্ষে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘুষ দিতেও পিছপা হলেন না ! এক বাক্স মিষ্টি আর ৫০০০ টাকা দিয়ে নিজের কাজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন ৷ এখন অবশ্য তাঁর স্থান হয়েছে শ্রীঘরে ! ঘটনার সূত্রপাত রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলওয়ারের বাড়িতে ৷ একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি ৷ তাঁদের সুবিধে-অসুবিধে শুনছিলেন ৷ ভিড়ের মধ্যে ছিলেন বাঁসওয়ার জেলার বুধা ব্লকের সরকারি শিক্ষক চন্দ্রকান্ত বৈষ্ণবও ৷
খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে আচমকাই মন্ত্রীর কাছাকাছি চলে যান চন্দ্রকান্ত ৷ তাঁর দিকে একটি খাম বাড়িয়ে দেন ৷ ইটিভি ভারতকে মন্ত্রী জানান, সরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়ার তাড়া থাকায় প্রথমে খামে কী আছে তা দেখার সময় হয়নি তাঁর ৷ কিন্তু চন্দ্রকান্ত ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা এক চিত্রগ্রাহক দেখতে পান খামে টাকা আছে ৷ তাঁর থেকে খবর পেয়ে খাম খুলেই মন্ত্রী দেখেন সেখানে ৫০০০ টাকার সঙ্গে আছে শিক্ষকের আবেদনপত্র ৷ পাশেই রাখা আছে মিষ্টির একটি বাক্সও ৷

এদিকে বিষয়টি বুঝতে পেরেই মন্ত্রী তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ওই শিক্ষককে আটকাতে নির্দেশ দেন ৷ খবর যায় স্থানীয় থানায় ৷ অল্প সময়ের মধ্য়েই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার হন শিক্ষক ৷ পাশাপাশি তাঁকে বরখাস্তও করা হয়েছে চাকরি থেকে ৷ জানা গিয়েছে, চিঠিতে দাবির কথা জানানোর পাশাপাশি নিজের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্যও দিয়েছেন তিনি ৷ রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাও জানিয়েছেন তিনি ৷ লিখেছেন, ছাত্র থাকাকালীন তিনি আরএসএসের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন ৷ সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সদস্যও ছিলেন ৷
অন্যদিকে, ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েও রাজনীতি টেনে এনেছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম কেউ আমায় ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করল ৷ এই ধরনের কাজকর্ম কংগ্রেস সরকারের আমলে হত ৷ দেড় বছর আগে পর্যন্ত শিক্ষকরা এসবই দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন ৷ আর তাই বোধহয় এই শিক্ষক কমিটিতে জায়গা পেতে চেয়ে আমায় ঘুষ দিয়েছেন ৷” এখানে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের একটি মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেন বিজেপি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ৷ তাঁর দাবি, একবার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর কাছে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ৷ জবাবে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মৃদু হেসে বলেছিলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে ৷’