সামশেরগঞ্জের বৃদ্ধ ও তাঁর ছেলেকে খুনের অভিযোগে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল জঙ্গিপুর মহকুমা আদালত

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সামশেরগঞ্জের বৃদ্ধ হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগে ধৃত ১৩ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করল জঙ্গিপুর মহকুমা আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধীদের সকলের বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায়। আজ, মঙ্গলবার অপরাধীদের সাজা শোনাবে আদালত। সরকারি আইনজীবী সমীরকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মাননীয় বিচারক এই মামলার অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মঙ্গলবারেই অপরাধীদের সাজা শোনাবে আদালত।

চলতি বছরে এপ্রিল মাসে দেশে ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হয়। আইন বাতিলের দাবিতে সর্বত্র বিক্ষোভ শুরু হয়। সামশেরগঞ্জে গত ১১ এপ্রিল দুপুরে ওই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমে সেই বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। দোকানপাট ভাঙচুর করে ও আগুন লাগিয়ে দেয় একদল উন্মত্ত মানুষ। ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকায় তাণ্ডব চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। ওইদিন সন্ধ্যায় এলাকায় কারফিউ জারি হয়। রাত ভোর হতেই ফের অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। ১২ এপ্রিল সকালে জাফরাবাদ গ্রামেও অশান্তির আঁচ লাগে। জনা কয়েক দুষ্কৃতী হরগোবিন্দ দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। বৃদ্ধ হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। বাবা ও ছেলে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তারপর দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে বহাল তবিয়তে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই বাবা ছেলে বেশ কিছুক্ষণ পড়ে থাকেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খুনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে প্রশাসন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। তদন্তে নেমে খুনের ঘটনায় জড়িত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই ধৃতরা জেল হেপাজতে ছিল। এদিন সেই ১৩ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *