সুন্দরবনে কি আস্তানা গেড়েছে গড়িয়াহাট জোড়া খুনের মূল চক্রী ভিকি? , চলছে ব্যাপক তল্লাশি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজি জেরায় কবুল করেছে গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের প্রধান মূল চক্রী মিঠু হালদারের পরামর্শেই তারা বাড়ি ছেড়ে পাথরপ্রতিমার অতি-সঙ্কীর্ণ অঞ্চলে লুকিয়ে ছিল বলেই। পুলিশের আরও সন্দেহ, কর্পোরেট-কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের হত্যাকাণ্ডে পরে অন্যতম আরেক মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারও লুকিয়ে রয়েছে সুন্দরবনের কোনও প্রান্তে। রবিবারেও তল্লাশি চালানো হয় তার হদিস পেতে। তবে পুলিশের দাবি ভিকি আর তার এক সঙ্গী খুনের ঠিক পরে ডায়মন্ড হারবারেই গা-ঢাকা দিয়ে ছিল বলেই।
পুলিশি সূত্রের খবর, বাপি, জাহির, ভিকি ছাড়াও আরও দুই যুবক অকুস্থলে ছিল ১৭ অক্টোবর, হত্যাকাণ্ডের সময়। মিঠু ছিল দূরে। তিন অভিযুক্ত বাড়ি ফিরে গিয়েছিল খুনের পরে । পুলিশ এও জানিয়েছে, দু’দিন বাড়িতে থাকার পরে মিঠু সকলকে বলে পালিয়ে গিয়ে আলাদা আলাদা জায়গায় লুকিয়ে থাকতে। তদন্তকারীরা জানান, বাপি ও জাহির পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত এলাকায় গা-ঢাকা দেয় মিঠুর পরামর্শেই। অন্যেরা আলাদা হয়ে যায়। বাপি-জাহির রাতভর তল্লাশিতে গ্রেফতার হলেও এখনও গোয়েন্দাদের নাগালের বাইরে রয়েছে ভিকি। বাপি ও জাহিরের সঙ্গে মিঠু আর যাকে নিয়ে এসেছিল, সে-ও পলাতক। মিঠু ধরা পড়লেও এখনও অধরা ভিকির সঙ্গে থাকা ২ যুবক।