সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বহাল থাকলো সোমা দাসের, তবুও মন খারাপ তার

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : চাকরি থাকলেও খুশি নন সোমা দাস। মারণ রোগে আক্রান্ত তিনি তবুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। অসীম সাহস তার। ২০১৬ সালের এসএসসি-র পুরো প্যানেলই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটাই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। তবে একমাত্র চাকরি বহাল থেকেছে নলহাটির ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা সোমা দাসের । এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, মানবিকতার খাতিরে সোমার চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না।

জানা গেছে ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন নলহাটির বাসিন্দা সোমা দাস। কিন্তু অভিযোগ ছিল, মেধাতালিকায় নাম থাকার পরেও চাকরি দেওয়া হয়নি তাঁকে।এরই মাঝে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হন সোমা। তবে সেখানেই লড়াই থামিয়ে দেননি তিনি। বরং রোদ, বৃষ্টির মধ্যেই অসুস্থ অবস্থায় চাকরির দাবিতে কলকাতায় আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে ২০২২ সালে ক্যানসার আক্রান্ত সোমাকে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। বীরভূমের নলহাটি-১ ব্লকের মধুরা হাইস্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসাবে সোমাকে নিয়োগ করা হয়। এরপর গত বছরের এপ্রিলে অনিয়মের অভিযোগে এসএসসি-র পুরো প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে শুধুমাত্র সোমার চাকরিই বহাল ছিল। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা হয়। অবশেষে এদিন হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, একমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসেরই চাকরি থাকবে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনে সোমা এও বলেন, ‘আমি এটা কখনই চাইনি আমার চাকরি থাকুক, বাকিদের চলে যাক। সবাই পরিশ্রম করেছে সবারই কাছে এই চাকরি অত্যন্ত জরুরী।এই রায় আমার কাছে অনভিপ্রেত। কারণ, গোটা প্যানেলে অনেকেই যোগ্য ছিলেন। সরকার এবং কমিশনের (এসএসসি) কিছুটা গাফিলতির কারণেই যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হল না। আমি খুশি নই এমনটাই জানালেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *