সেচমন্ত্রীকে ফিরহাদ হাকিমের চিঠি শহরের জল জমা রুখতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অল্প বৃষ্টিতেই কলকাতা শহর প্রবল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই বিপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে শহর লাগোয়া ১৭ টি খালের নাব্যতা কমে যাওয়াতেই। ঠিকমতো সরানো যাচ্ছে না এমনকি শহর থেকে জমা জল। শহর জল যন্ত্রণা থেকে কোনো ভাবে মুক্তি পাবে না এই খালগুলি সংস্কার না হলে। তাই এবার কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম খাল সংস্কারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের কাছে।
মূলত একাধিক পাম্পিং স্টেশন রয়েছে কলকাতা পৌরনিগম এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে। রাস্তার বিভিন্ন অংশ থেকে জমা জল তুলে শহর লাগোয়া এইসব খালগুলিতে ফেলে এই পাম্পিং স্টেশনগুলি। কিন্তু খাল থেকে জল ঠিকমতো গঙ্গায় গিয়ে পড়ছে না খালগুলিতে নাব্যতা কমে যাওয়ায়। ফলে শহরবাসীর মুক্তি মিলছে না জল জমার সমস্যা থেকেও। এছাড়াও বহু অংশ জবর দখল হয়ে গিয়েছে এই খালগুলিরও। কল বন্ধ করে দোকান ঘর তৈরি করেছে দখলকারীরা । এরফলে শহরে ক্রমশই বাড়ছে প্রবল জল যন্ত্রণা।
এবার নাগরিকদের এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই দিতেই কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম খাল সংস্কারের জন্য চিঠি দিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। তিনি এই চিঠিতে দ্রুত হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন শহরকে ঘিরে থাকা ১৭ টি খালের গভীরতা বৃদ্ধি করতে। কলকাতায় জমা জল নিয়ে মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় একটু ভারী বৃষ্টি হলেই৷ তা নিয়েই তিনি নবান্নে গত ১৮ জুন মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন খাল সংস্কারের বিষয় নিয়ে।
এই চিঠিতে ফিরহাদ হাকিম এও উল্লেখ করেছেন,অবস্থা খুব খারাপ কলকাতার দক্ষিণে চড়িয়াল খাল, বেগোর খাল ও নিউ মনি খালের। কলকাতার উত্তরে শোচনীয় অবস্থা সুতি খাল ও ঘুনিগাছি খাল সহ বেশ কয়েকটি খালের।এদিকে টালি নালায় মিশেছে দক্ষিণ কলকাতার ওয়েস্টার্ন খাল ও কেওড়াপুকুর ক্যানেল দুটি। দ্রুত এই খালগুলি সংস্কার করে নাব্যতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ফিরহাদ হাকিম অনুরোধ করেছেন সেচমন্ত্রীকে।