স্বরূপনগরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের ব্যাগে মিলল ১১ টি সোনার বিস্কুট, তদন্তে নামলো পুলিশ ও বিএসএফ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের কাছ থেকে উদ্ধার হল দেড় কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের ১১ টি সোনার বিস্কুট ! বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বিথারী সীমান্ত এলাকায়। নাবালকের কাছে এই বিপুল পরিমাণ সোনা কোথা থেকে এল, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তাহলে কী নাবালকরাও জড়িয়ে পড়ছে পাচারের কাজে, নাকি তাদের সামনে রেখে পাচার চক্রের জাল বিস্তৃত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাচারকারীরা ? যৌথভাবে তারই উত্তর খুঁজতে চাইছে বিএসএফ ও পুলিশ।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান নতুন কিছু নয়। সেটা স্বরূপনগরের বিথারী সীমান্ত হোক কিংবা বসিরহাট সীমান্ত। সেখানে বারবার সামনে এসেছে পাচারকারীদের সক্রিয়তা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাচার রুখতে বাড়ানো হয়েছে সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা। তারপরেও সীমান্তে সোনা পাচারে লাগাম টানা যায়নি। পরপর সোনা পাচারকারী গ্রেফতারের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাতে স্বরূপনগরের বিথারী সীমান্ত থেকে সোনা পাচারে জড়িত ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা আটক করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা বিথারী এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় দোহারকান্দা সীমান্তের কাছে কালো পলিথিনের ব্যাগ নিয়ে এক নাবালককে হেঁটে যেতে দেখেন বিএসএফ জওয়ানরা। সন্দেহ হওয়ায় তার কাছে এগিয়ে যান তাঁরা। এরপর নাবালকের কাছে থাকা ব্যাগটি নিয়ে জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করেন। তখন ওই ব্যাগের ভিতর থেকে ১ ১ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া ওই সোনার ওজন ১ কেজি ২৮৬ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নাবালক জানিয়েছে, তার বাবা তাকে ব‍্যাগটি সীমান্ত লাগোয়া একটি মাঠের মধ্যে রেখে আসতে বলেছিলেন। এদিকে, আটক ওই নাবালককে পরে তুলে দেওয়া হয় স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে। ওই নাবালক সত্যি বলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদী রহমান। তিনি বলেন, “ওই নাবালকের বাবার খোঁজ শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *