হকারের_ছেলে থেকে আন্তর্জাতিক গবেষক গাজোলের গর্ব শিবশংকর সাহা
নিজস্ব সংবাদদাতা : স্বপ্ন, সংগ্রাম আর অধ্যবসায়ের এক জীবন্ত উদাহরণ শিবশংকর সাহা। চরম আর্থিক প্রতিকূলতার মাঝেও হার মানেননি। গাজোলের ছোট্ট গ্রাম তুলসীডাঙা থেকে উঠে এসে আজ তিনি পৌঁছে গেছেন আন্তর্জাতিক গবেষণার দরজায়। বাবা কালিপদ সাহা ছিলেন একজন হকার, পরে লোন নিয়ে চালাতে শুরু করেন একটি টোটো। অভাবের ঘেরাটোপ পেরিয়ে, দাঁতে দাঁত চেপে ছেলেকে বড় করার প্রতিজ্ঞা নেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী রুমা দেবী। সেই চেষ্টারই ফল—শিবশংকর।

গাজোল হাই স্কুল থেকে শুরু, যাদবপুর হাই স্কুল ও বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে পড়াশোনা করে, এমএসসি শেষ করেন। এরপরই সুযোগ পান দেশের গর্ব আইআইটি খড়গপুরে। সেখান থেকে অংকের “গ্রাফ থিওরি” নিয়ে পিএইচডি করেন। আজ সেই ছেলেই ডাক পেয়েছেন ইজরায়েলের প্রখ্যাত বার-ইলান ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণার জন্য, বিখ্যাত অধ্যাপক আলেকজান্ডার গুটারম্যানের তত্ত্বাবধানে।
শিবশংকরের কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা: “মা-বাবার আত্মত্যাগ, শিক্ষকদের সাহচর্য এবং নিজের অদম্য জেদের জোরেই আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। টিউশন করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছি, পেয়েছি সরকারি স্কলারশিপ। আজও বিশ্বাস করি—মেধা, পরিশ্রম আর ইচ্ছা থাকলে কোনও স্বপ্নই অধরা থাকে না।