হিন্দমোটরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল একই পরিবারের তিন জন, মৃত্যু হল মা ও মেয়ের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হিন্দমোটরে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করল পুলিশ। যার মধ্যে চার বছরের এক শিশু ও মহিলাকে মৃত পাওয়া গিয়েছে ৷ স্বামী কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়কে (৩৭ ) গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কাশীনাথ স্ত্রী পায়েল চট্টোপাধ্যায় (২৫ ) এবং মেয়ে অদ্রিতা চট্টোপাধ্যায়কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
ঘটনাটি উত্তরপাড়া থানার ৪৭ ডি জে রোড ভদ্রকালী এলাকার । ধারালো ছুড়ি দিয়ে গলা এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের জানা ৷ ঘটনার পরই ঘরটিকে তালা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। রাতে পরিবারের মধ্যে কোন অশান্তি হয়নি দাবি মৃতা মহিলার মায়ের ৷ তবে কী কারণে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করেন স্বামী।

চন্দননগর কমিশনারেটের অধীন শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব ঘোষ বলেন,”একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।বাকি দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । তদন্ত শুরু হয়েছে । কী কারণে এই ঘটনা, এখনই বলা যাচ্ছে না।” এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’বছর ধরে কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় স্ত্রী ও মেয়ে হিন্দমোটরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ৷ কাশীনাথ লিলুয়ার একটি অ্যালুমিনিয়াম কারাখানার শ্রমিক ৷ রাতে তিন জনে একসঙ্গে শুয়েছিল ৷ বুধবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পায় পায়েলের মা মামনি চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, “আমার মেয়ের দুই মেয়ে । সাত বছরের বড় মেয়ে প্রথম থেকেই আমার কাছে থাকে ৷ কিন্তু ছোট মেয়ে ওদের সঙ্গেই ভাড়া বাড়িতে ছিল । প্রতিদিন সকাল সাতটা নাগাদ জামাই আমাকে ডাকে । আজ দেরি হওয়ায় আমি ঘুরে ঢুকে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জনে পড়ে আছে । কাল রাতে কোন অশান্তি হয়নি। কী ঘটেছে বলতে পারব না।”
পরিবার সূত্রে খবর, হাতে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কাশীনাথের ৷ মৃত মহিলার মামা চন্দন চক্রবর্তী বলেন, “কী অশান্তি বলতে পারব না। জামাই একটি কারখানাতে কাজ করে। আমি এসে দেখি দু’জনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ আমার ধারণা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জামাই দু’জনকে মেরে নিজেকে আঘাত করে। পারিবারিক বিবাদ কি না জানি না।”