অবৈধ-জাল জিনিস আপনার পার্সেলে’, এবার প্রতারণার নয়া ফাঁদ খোদ ক্যুরিয়র সংস্থার নামে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কোনও গুরত্বপূর্ণ জিনিস কিংবা দরকারি চিঠি পত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে স্পিড পোস্ট বা ক্যুরিয়ার অত্যন্ত সহজ এক মাধ্যম। তবে এবার প্রতারকদের নজর সেই দিকেও। ক্যুরিয়ার কোম্পানির নাম করে পাতা হচ্ছে প্রতারণার ফাঁদ। আর তাতে পা দিলেই সর্বস্বান্ত। সম্প্রতি কলকাতার এক বাসিন্দা ডালিয়া দে, যিনি আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে যুক্ত, তাঁর কাছেও এক ক্যুরিয়ার কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন আসে। ফোন আসার পরে তাঁকে বলা হয় মুম্বই থেকে তার একটি পার্সেল বুকিং হয়েছে। যে পার্সেলের ভিতরে বেশ কিছু অবৈধ ও বেআইনি পাসপোর্ট সহ একাধিক জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁর সেই ক্যুরিয়ারটি ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই প্রতারক ফোনটিকে ট্রান্সফার করে দিচ্ছেন ‘মুম্বই সাইবার ক্রাইম আধিকারিকে’র কাছে।

ফোনের অপরপ্রান্তে মুম্বই সাইবার ক্রাইমের আধিকারিক বলে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ওই পার্সেলের ভেতর ঠিক কী কী ছিল তা জানতে চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ডালিয়াকে। কিন্তু বিষয়টি যে আদতেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়, এবং প্রতারণার কৌশল সেটা বুঝতে পেরেই তৎক্ষণাৎ ফোন কেটে দেন ডালিয়া। পরবর্তী ক্ষেত্রে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তিনি এই বিষয়ে পরামর্শ নেন।

সাইবার এক্সপার্ট দের বক্তব্য, প্রতারকরা বিভিন্নভাবে ক্যুরিয়ার পার্সেলের মধ্যে বেআইনি বস্তু আছে বলে মানসিক চাপ তৈরি করছে। যদি কখনও এরকম কোনও ফোন আসে, সেক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে, উল্টো চাপ তৈরি করতে হবে প্রতারকদের মধ্যে। কোনওভাবেই ভয় পেলে চলবে না, ভয় পেলেও তাঁরা চেপে ধরবে ও ভয় দেখাতে শুরু করবে। সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “প্রতারকরা বিভিন্নভাবে ফাঁদ পাতছে। বিভিন্নভাবে ফোন করে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মানুষ সচেতন হয়েছেন। তবে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। আর পাল্টা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পাল্টাই চাপ তৈরি করতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *