হিন্দুমহাসভার অভিনব “রাজপথে রবীন্দ্রজয়ন্তী ও রাখীবন্ধন” উৎসর্গ করা হলো ভারতীয় জওয়ানদের উদ্দ্যেশ্যে
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে এক অভিনব “রাজপথে রবীন্দ্রজয়ন্তী” আয়োজিত হল ব্যারাকপুর সেনাছাউনি সংলগ্ন এলাকায় । হিন্দুমহাসভার সাংস্কৃতিক মঞ্চ, গুরুকুল এবং বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ ক্লাবের সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্রজয়ন্তীর সকালে ভারতীয় বীর জওয়ানদের সুরক্ষা ও জয়লাভের উদ্দ্যেশ্যে সবার আগে ব্যারাকপুরের বিখ্যাত বজরঙ্গবলী হনুমানজির মন্দিরে উপবাস থেকে বিশেষ পূজা ও যজ্ঞের আয়োজন করা হয় । এরপর ফোর্ট উইলিয়াম ও ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে গিয়ে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের পূজার প্রসাদ দিয়ে তাঁদের হাতে সৌভাত্রিত্বের রাখী পরিয়ে দিলেন মঞ্চের মহিলা সদস্যরা ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯০৫ সালে ইংরেজদের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় মানুষের হাতে এভাবেই সৌভাত্রিত্বের রাখী পরিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । হিন্দুমহাসভার সদস্যরা এরপর ব্যারাকপুরের রাজপথে রবি ঠাকুরের ছবি বুকে নিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে গাইতে পথযাত্রীদের হাতে মৈত্রীর রাখী পরিয়ে দিলেন । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য প্রতি বছর খুব বড় করে বিশ্বমানব রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী আমরা পালন করি । কিন্তু এই বছর ভারতীয় বীর জওয়ানরা যেভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদের জীবন ও ভারতমায়ের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করছেন তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা এই বছরের রবীন্দ্রজয়ন্তী ভারতীয় বীর জওয়ানদের উদ্দ্যেশ্যে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । যে জাতীয়তাবাদী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের দেওয়া নাইট উপাধি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তাঁর আত্মা নিশ্চই তাঁর জন্মদিনে আমাদের নেওয়া এই জাতীয়তাবাদী কর্মসূচিতে অত্যন্ত খুশি হবে । মডেল শর্মিষ্ঠা রায়চৌধুরী বলেন এবছর রবীন্দ্রজয়ন্তী ও অপারেশন সিঁদুর সামরিক অভিযান আমরা এভাবেই পথে নেমে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । শিল্পী সুরথ চক্রবর্তী বলেন বর্ডারে আমাদের সেনা জওয়ানরা লড়ছেন ঠিকই কিন্তু পাকিস্তানের মাথায় রাখা উচিত এই লড়াই আমাদের একশোচল্লিশ কোটি ভারতবাসীর ।

এদিকে পণ্ডিত সুভাষ সিংহ রায় আবার এও দাবী করেন একজন প্রকৃত শিল্পী তার শিল্পসত্ত্বার মাধ্যমেই দেশমাতৃকার প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন । হিন্দুমহাসভার অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল এদিন এও জানান রবি ঠাকুরের জন্মদিনের মত একটি শুভ দিনকেই আমরা বেছে নিয়েছি আমাদের সেনা জওয়ানদের হাতে “সুরক্ষাধাগা” ও বজরঙ্গবলীর প্রসাদ তুলে দেওয়ার জন্য । এদিনের এই অনুষ্ঠানে হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ছাড়াও ডক্টর সুরথ চক্রবর্তী, পণ্ডিত সুভাষ সিংহরায়, মডেল শর্মিষ্ঠা রায়চৌধুরী, সঞ্জয় সিংহ, ডাক্তার রানা ভট্টাচার্য্য, সৃজা চক্রবর্তী, যাজ্ঞসেনী দাস, সূচনা ভট্টাচার্য, অনামিকা মন্ডল সহ আরো অনেক সদস্য উপস্থিত থেকে এই অভিনব রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করলেন।