হিন্দু-মুসলমানের পূর্বপুরুষ এদেশে একই, ভুল বুঝিয়েছে ব্রিটিশরা এসে; এমনটাই দাবি মোহন ভাগবতের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ব্রিটিশরা ভুল বুঝিয়ে লড়াই বাধায় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে৷ নাহলে হিন্দু এবং মুসলমানের পূর্বপুরুষ এক এদেশে৷ একই বংশের উত্তরাধিকারী তারা ৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত এমনই দাবি করলেন মুম্বইয়ের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে৷ এমনকি তিনি দাবি করেন এদেশের প্রতিটি মানুষই ‘হিন্দু’ বলেও৷আরএসএস প্রধান সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের ‘রাষ্ট্র প্রথম-রাষ্ট্র সর্বোপরি’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানান, দেশবাসীর ঐক্যের ভিত্তি হল এই মাতৃভূমি এবং আমাদের ঐতিহ্য ৷ তিনি এও বলেন, ” একই বংশের উত্তরাধিকারী হিন্দু এবং মুসলমানরা৷ তাদের পূর্বপুরুষ একই ৷”
তাঁর আরও দাবি, ব্রিটিশরা এদেশে মুসলমানদের বলে, ‘ তোমরা কিছুই পাবে না হিন্দুদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকলে৷’ ভাগবত বলেন, ” ব্রিটিশরা মুসলমানদের এও বলে, শুধু হিন্দুরাই নির্বাচিত হবে এদেশে৷ যা তাদের উৎসাহিত করে আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তুলতেও৷ ব্রিটিশরা মুসলমানদের এও বোঝায় যে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ভারত থেকে৷ কিন্তু এমনটা কি হয়েছে ? হয়নি ৷ এখানে যেকোনও মুসলমান বসতে পারেন যেকোনও পদে ৷”ভাগবত আরও বলেন, “ব্রিটিশরা আবার এদিকে হিন্দুদের বোঝায় যে মুসলমানরা উগ্রপন্থী ৷ তারা এখানে দ্বন্দ্বে লিপ্ত করে হিন্দু-মুসলমানকে৷ ফলে দু’জনরাই একটা দূরত্ব তৈরি করে নেয় নিজেদের মধ্যে৷ এখন আমাদের তা মেটাতে হবে ৷”
প্রতিটি দেশবাসীকে ‘হিন্দু’ বলে দাবি করেন তিনি৷ তার সপক্ষে যুক্তি সাজান, তিনি বলেন “আমার মতে ‘হিন্দু’ শব্দটা মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ এবং ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক ৷ ‘হিন্দু’ কোনও জাতি নয় ৷ জাতি, ধর্ম , বর্ণ নির্বিশেষে এটি প্রতিটি মানুষের উন্নয়নের নাম৷ তাই আমরা মনে করি, প্রতিটি ভারতবাসীই হলেন হিন্দু ৷”