হিমাচলের ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু বেড়ে হল ৮০, কুকুরের ডাকে বিপদের আঁচ, অবশেষে প্রাণে বাঁচলেন ৬৭ জন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাঝরাতে চিৎকার জুড়েছে পোষ্য কুকুর। কিছুতেই থামছে না। অস্থির হয়ে উঠে পড়লেন বাড়ির সবাই। বকাঝকা-ধমক দিলেও থামছে না। বরং চিৎকারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় কুকুরটি। হঠাৎ নজর পড়ল দেওয়ালে। এককোণে ফাটল ধরেছে! তা দেখেই বিপদের আঁচ পেলেন গৃহকর্তা নগেন্দ্র। বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির বেগ বাড়ছে। নগেন্দ্র বুঝতে পারলেন, আর বাড়িতে থাকা যাবে না। চলে যেতে হবে নিরাপদ কোনও আশ্রয়ে। গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের ডেকে হেঁকে ঘুম থেকে তোলেন নগেন্দ্র। আসন্ন বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্ক করেন সবাইকে। আর দেরি করেনি কেউ। ২০টি পরিবারের ৬৭ জন বাসিন্দা গ্রাম ছাড়ে। সঙ্গে পোষা কুকুরটিও। আর কিছুটা দেরি হলেই ঘটে যেতে পারত বড় বিপদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই নামে হড়পা বান। সেইসঙ্গে ধস। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গোটা গ্রাম। কার্যত কুকুরের ডাকেই এই বড়সড় বিপর্যয়ে প্রাণরক্ষা হল গ্রামের বাসিন্দাদের।

মূলত, বলা হয়, জীবজন্তুরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম আভাস পায়। ধর্মপুরে সে কথাই সত্যি প্রমাণিত হল। গোটা গ্রামকে বাঁচাল কুকুরের ডাক। পোষ্যের মালিক নগেন্দ্রর কথায়, ‘মাঝরাতে কুকুরের চিৎকারে ঘুম ভাঙে। তখনই খেয়াল করি ঘরের দেওয়ালে ফাটল ধরতে শুরু করেছে।’ উল্লেখ্য, গত ২০জুন থেকে একটানা বৃষ্টি ও ধসে বিধ্বস্ত হিমাচল। পরিস্থিতি ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৮০ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, এই বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। একাধিক রাস্তা বন্ধ। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *