হিলির পুজোয় আজও মিলে মিশে একাকার হয় দুই বাংলা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের উচ্চা গোবিন্দপুরের দুর্গাপুজো ৷ ওপার বাংলার মানুষজনও অংশগ্রহণ করেন কাঁটাতারের এপারে ভারতীয় ভূখণ্ডের এই পুজোয় ৷ এই পুজোয় নেই কোনো রকম জাঁকজমক, নেই কোনো চোখ ধাঁধানো রং-বেরঙের আলোকসজ্জা, নেই কোনো থিমের রমরমা ৷ তবুও আছে আন্তরিকতা, আছে স্বাধীনতাও৷পুজোর এই ক’দিন কাঁটাতারের বেড়াজাল ভুলে এপার ও ওপার বাংলার মানুষ একাত্ম হয়ে যান পুজোয় অংশগ্রহণ এর জন্য৷
এই পুজো হয়ে আসছে ১৯৫৩ সাল থেকেই ৷ আগে পুজোটি হত দু’দেশের জ়িরো পয়েন্টে ৷ পরবর্তীকালে জ়িরো পয়েন্ট থেকে প্রায় 20 মিটার ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতরে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নির্দেশে ৷ এলাকাবাসীরাই চাঁদা তুলেই এই পুজোর আয়োজন করে থাকে৷ পুজোর দিনগুলোয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলির ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বা উচ্চা গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষরা অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠেন মাতৃ আরাধনায়৷ বাংলাদেশের দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের ৫০ টি হিন্দু ও ৬০ টি-র মতো মুসলিম পরিবারও এই পুজোতে সমানভাবে অংশগ্রহণ করেন ৷
পুজোর ক’টা দিন বেশ খানিকটা শিথিল থাকে BSF-এর নজরদারি৷ এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে BSF ও BGB ৷ আট থেকে আশি সবাই মেতে ওঠে উৎসবের অনাবিল আনন্দে । পুজোর চারদিন মণ্ডপ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় নাটক, কীর্তন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ৷ এছাড়াও যুগিপর্ব গানের আসর বসে নবমীর দিনও ৷ পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে গোবিন্দপুরে। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর দর্শনার্থীও আসেন এই পুজো ও মেলা দেখতে ।