‘ ১৭ ঘণ্টার ডিউটি একজন গার্ডকে দিয়েই…’, প্রাক্তন রাজধানীর চালক অকপটে বলে ফেললেন সবটা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অভিযোগ উঠছে মালগাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এই ট্রেন দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, গত বছরের জুনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার সময়ও ঠিক একই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। চালক কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? কিন্তু কেন? বারবার কেন এই অভিযোগ উঠে আসে? রেলের ভিতরের খুঁটিনাটি বিষয় জানালেন অবসরপ্রাপ্ত রাজধানী এক্সপ্রেসের এক লোকো পাইলট বিজয় বাহাদুর সিং।

নিয়ম অনুযায়ী, আট থেকে দশ ঘণ্টা মালগাড়ির লোকো পাইলটরা নিজের পরিষেবা দিতে পারবেন। অভিযোগ উঠছে তাঁদের দিয়ে ১৬-১৭ ঘণ্টা রেক চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। শীতের সময় কোনওভাবে এই চালকরা সামলে নিলেও, গরমকালে রীতিমতো শরীর ভেঙে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডের কাছে বারবার উত্থাপন করা হলেও, লোকো পাইলট নিয়োগের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

শরীর ক্লান্তির জন্যই চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। এক্ষেত্রেও তেমনি হয়েছে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ। এক সাক্ষাৎকারে বিজয়বাবু বলেন, “ওভার ডিউটি করার কারণ অন্য। আট ঘণ্টার বেশি কাজ করানো উচিত নয় এটাই নিয়ম। কিন্তু অবাক হয়ে যাবেন ১০ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা তিনি ট্রেন চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা বারবার বলেছি লোক নিতে। কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। স্টাফের সংখ্যা সেফটি ক্যাডারে লোক পাইলট, গার্ড, স্টেশন মাস্টার, কেবিন মাস্টার অনেক কম আছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে হইহই। তারপর আর কিছু হয় না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *