৮ কোটি টাকার জন্য নিজের স্বামীকে খুন প্রেমিকের মদতে ! প্লট হার মানাবে এমনকি সিনেমা গল্পকেও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘প্রেম, লোভ, প্রতারণা, খুন। কোনও সিনেমার গল্পের থেকে কম কিছু নয়। এক মাস ধরে ধন্দে থাকার পর অবশেষে ব্যবসায়ীর খুনের কিনারা করতে পারল পুলিশ। জানা গেল, ৮ কোটি টাকা ও সম্পত্তির লোভে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীই তাঁকে খুন করেছিলেন। খুনে মদত দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক ও বন্ধু।

তিন সপ্তাহ আগে, গত ৮ অক্টোবর কর্নাটকের কোদাগু জেলায় একটি কফি ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। দেহ সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায়, তাঁর পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। এরপর আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সেখানেই নজরে আসে পড়শি রাজ্য় তেলঙ্গানার একটি বিএমডব্লু গাড়ি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গাড়ির মালিক রমেশ নামক এক ব্যক্তি। বছর ৫৪-র ওই ব্যক্তির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ডায়েরি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী দিন কয়েক আগেই।

ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে জেরা করতেই ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আসে। লাগাতার জেরায় ভেঙে পড়ে বছর ২৯-র যুবতী। স্বীকার করে নেয় যে প্রেমিক নিখিল ও বন্ধু অঙ্কুরের মদতেই স্বামী রমেশকে খুন করেছে। জেরায় জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রাপ্ত নিহারিকা আগেও একবার বিয়ে করেছিল। সন্তান হওয়ার বছর খানেকের মধ্যেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কর্মসূত্রে হরিয়ানায় আসে নিহারিকা। সেখানে আর্থিক তছরুপে জড়িয়ে পড়ে এবং জেলে যায়। সেখানেই অঙ্কুরের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।

জেল থেকে মুক্তির পর ব্যবসায়ী রমেশকে বিয়ে করে নিহারিকা। রমেশের সঙ্গে থেকে বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে সে। এদিকে, নিখিল নামক এক পশু চিকিৎসকের সঙ্গেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময়ে রমেশের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা দাবি করে নিহারিকা। রমেশ এত টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে নিহারিকা।

গত ১ অক্টোবর হায়দরাবাদের উপ্পলে রমেশকে গলা টিপে খুন করে নিহারিকা ও তাঁর প্রেমিক। এরপর তাঁরা গাড়িতে দেহ ভরে, টাকা পয়সা নিয়ে কর্নাটকের উদ্দেশে রওনা দেয়। উপ্পল থেকে ৮০০ কিমি দূরে কোদাগু-তে একটি কফি চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে রাখে। কম্বল চাপা দিয়ে মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর হায়দরাবাদ ফিরে এসে, এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করে। খুন হওয়ার বেশ কয়েকদিন পর অগ্নিদ্বগ্ধ দেহটি উদ্ধার হওয়ায়, প্রাথমিকভাবে কোনও সূত্রই পাচ্ছিল না পুলিশ। শেষে রহস্যের কিনারা হল সিসিটিভি ফুটেজ এর সূত্র ধরেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *