কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকায় মাস্ক বিলি করোনা আবহে , রাজ্য সরকার কুর্নিশ জানাল বাঁকুড়ার ছাত্রীকে
কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকায় মাস্ক বিলি করোনা আবহে , রাজ্য সরকার কুর্নিশ জানাল বাঁকুড়ার ছাত্রীকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোটা বিশ্ব যখন একরকম জবুথবু করোনার ধাক্কায়। প্রয়োজন ছাড়া যখন এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বেরনো মানা । তখন করোনা কালে বাঁকুড়ার ইন্দাসের স্কুলছাত্রী পায়েল নন্দী সকলকে চমকে দিল একেবারে ব্যতিক্রমী কাজ করে। সে চমকে দিয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকায় সকলকে মাস্ক বিলি করে। এবার রাজ্য সরকার স্বীকৃতি দিল তার সেই বিশেষ কৃতিত্বকেই। গত ১৪ আগস্ট পায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হল কন্যাশ্রী পুরস্কার।
জানা গেছে এস এন পাঁজা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী পায়েল নন্দী। সে বাঁকুড়ার গোবিন্দপুরের নন্দীপাড়ার বাসিন্দা । বাবা, মা, ছোট ভাই ছাড়া আর কেউ নেই তার। বাবা মাছ চাষ করে সংসার চালান। মা গৃহবধূ। পায়েল ছোট থেকেই এলাকায় পরিচিত মেধাবী ছাত্রী হিসাবে। সে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হয় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায়। ছোটবেলা থেকেই মানুষের দুঃখ কষ্ট যেন তাকে একটু বেশিই স্পর্শ করে। কেঁদে ওঠে অপরের দুঃখে। এমনকি তার নিত্যদিনের অভ্যাস অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোও।
পায়েল করোনা কালে এমন অনেককেই দেখেছেন যাঁরা শুধুমাত্র মাস্ক পরতে পারছেন না টাকার জন্য। সেই সমস্ত মানুষদের ভাইরাসের কবল থেকে দূরে রাখার কথাই প্রথমে তার মাথায় আসে। তাই সে একদিন ব্যাংকের পথে হাঁটা দেয় বাবার সঙ্গেই। সেখানে গিয়ে পায়েল টাকা তোলে নিজের কন্যাশ্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে। মেয়ে টাকা দিয়ে কী করবে, তার বাবাও তা প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে পায়েল জানায় ওই টাকা দিয়ে কেনা মাস্ক সে বিলি করতে চায়। মেয়েকে বাধা দেননি বাবা একশো দিনের কাজের শ্রমিক এবং পথচারীদের মধ্যে।এমনকি পায়েল সকলের নজরও কাড়ে মাস্ক বিলি করে। এমনকি পায়েল সর্বত্র প্রশংসিত হয় করোনা সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য। আর এবার রাজ্য সরকার তাকে স্বীকৃতি দিল তার সেই কাজের জন্যই। গত ১৪ আগস্ট কন্যাশ্রী দিবসে তাকে পুরস্কৃত করা হল।