ভবানীপুরে তৃণমূলের বিশেষ কৌশল! বিজেপি-বামের চেয়ে অনেক ‘এগিয়ে’ থাকতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তৃণমূল কংগ্রেস সকাল-বিকাল জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিল ভবানীপুরের ৮ ওয়ার্ডে। যেহেতু মিছিল বা বড় সভা করা যাবে না কোভিড বিধির কারণে। তাই ঠিক হয়েছে প্রচার পর্ব চলবে অল্প অল্প করে দলে ভাগ হয়েই। ইতিমধ্যেই ৭ নেতাকে আট ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই নজরে রাখবেন যাবতীয় প্রচার কর্মসূচি। এর পাশাপাশি ওয়ার্ড পিছু ৭টি করে স্ট্রিট কর্ণার হবে বড় অংশের মানুষের কাছে ভবানীপুরের ঘরের মেয়ের বার্তা তুলে ধরতেও।
যেমন আজকেই এই স্ট্রিট কর্ণার শুরু হচ্ছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় এবং ওয়ার্ডে। যেখানে থাকবেন এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়র মতো নেতারা। সব মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গোটা বিধানসভা জুড়ে প্রায় ৫৬টি এই ধরণের পথ সভা করতে চলেছে।এমনকি মহিলাদের ওপরেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঘরের মেয়ের প্রচারের কাজে। ভবানীপুরের পাড়ায় পাড়ায় বাড়িতে-বাড়িতে যাবেন এমনকি মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাও।
দল গঠন করা হয়েছে ৫ জন করেই। তাদের প্রচার চলবে ঘরের উঠোনে বসেই। যে পরিবারে তারা প্রচারে যাবেন, এই প্রচার টিম জানবে তাদের কি সমস্যা। কোন পরিষেবা তারা পেয়েছেন। কোন পরিষেবা তারা পাননি। তাদের চাহিদা বা প্রয়োজনই বা কি সবটাই। একই সাথে তুলে ধরা হবে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কি কি কাজ করেছেন। প্রকল্পের যাবতীয় খতিয়ানও। ভবানীপুর বিধানসভাকে বলা হয় মূলত মিনি ইন্ডিয়া। এই হাই প্রোফাইল বিধানসভার ভোটার এমনকি ভিন্ন ভাষার মানুষও। ফলে তাদের কথা চিন্তা করেই লিফলেট বানানো হয়েছে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে। যা দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি গিয়েই।
জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যেমন ভাবে নির্দেশ দিচ্ছে আমরা প্রচারে ইস্যু তুলে ধরছি সেই ভাবেই।” ইতিমধ্যেই কবে কোন এলাকায় সভা হবে তা ছকে ফেলা হয়েছে। এমন ভাবে স্থান বাছাই করা হয়েছে কোনও অসুবিধা যাতে তৈরি না হয়। অন্যদিকে যাতে পৌছে যেতে পারা যায় সকলের কাছেই। আগামী ১৬ তারিখ মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই হাজির থাকবেন একটি সভায়।