মহিলার অপ্পত্তিজনক ছবি” ভিডিও কল ধরতেই -হানিট্রাপের জালে শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জামতাড়া গ্যাং নিয়ে চরম শঙ্কায় শহরবাসী। এরই মধ্যে এবার শহরের এক চিকিৎসক পড়লো হানিট্রাপের খপ্পরে! ভিডিও কল রিসিভ করতেই নগ্ন মহিলার ছবি। এরপরেই ব্ল্যাকমেল ও প্রতারণার চেষ্টা ভিডিও কলের সেই ছবিস্ক্রিন শট করে ।একজন নয়, শিকার বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে দু-চার জন চিকিৎসকেও।
জানা গেছে, গল্ফ গ্রিনের এক চিকিৎসকের কাছে সকাল ১০.৩৬ নাগাদ ভিডিও কল আসে গত ১৬ জানুয়ারি রবিবার ।এমনকি তিনি ভিডিও কলটি রিসিভও করেন। কারণ এখন অনেক্ষেত্রেই ভিডিও কলই ভরসা অতিমারী পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রথমে তিনি ব্ল্যাক স্ক্রিন দেখতে পান ভিডিও কল রিসিভ করলে। কিন্তু স্ক্রিনের অপর পাশ থেকে তখন তাঁকে বাংলায় জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল, তিনি কিছু দেখতে পাচ্ছেন কিনা। চিকিৎসক তার উত্তরে জানিয়ে দেন ‘না’। তার মাত্র ৩-৪ সেকেন্ডই মধ্যে চিকিৎসকের মোবাইলে ভেসে ওঠে এক সুন্দরী তরুণীর নগ্ন ছবি। চিকিৎসক জানান,ঐ তরুণী ঋত্বিকা শর্মা পরিচয় দেন নিজেকে। তারপরই চিকিৎসক ফোন কেটে দেন। চিকিৎসকের দাবি, ফোন এলে ট্রু কলারে নাম উঠেছিল প্রমোদ ডিপিএস।
এ দিকে, এই ঘটনার পরে কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যান তিনি। এরপর দুপুর ১.৪০ নাগাদ দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের নাম করে তাঁর কাছে ফোন আসে। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, একটি মেয়ের সঙ্গে তিনি অশালীন আচরণ করেছেন তাই পুলিশের এই ফোন অভিযোগ পেয়ে । চিকিৎসক অভিযোগে উড়িয়ে দিয়ে জানান এরকম কিছু করেনি তিনি। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ আপনাকে মেয়েটি ফাঁসিয়ে দিয়েছে, আপনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আপনার ফ্যামিলি শেষ।’ চিকিৎসক বলেন, ‘আমি সে ভাবে কথা বলিনি’। এরপর পুলিশ পরিচয়ে দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, ‘৪০ সেকেন্ডর ভিডিওতে শেষ হয়ে যাবে আপনার ফ্যামিলি। ছড়িয়ে গিয়েছে এমনকি ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারেও।
চিকিৎসক অবশ্য লড়ে গিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি কিছু করিনি। কোনও অসুবিধা হবে না আমার।’ এরপর তাঁকে পাঠানো হয় ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। কিন্তু সেটি ডাউনলোড করেনি তিনি । এরপর ওই চিকিৎসক নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন গোটা ঘটনাটি। আর তাতেই তিনি জানতে পারেনএকই অভিজ্ঞতার সামিল তাঁর অন্য চিকিৎসক বন্ধুরাও।ওই চিকিৎসকের অপর বন্ধু চিকিৎসকও সচেতনতার জেরে কোনওমতে রেহাই পান।
এক্ষেত্রে, গোয়েন্দাদের পরামর্শ, অচেনা নম্বর ব্লক করুন। ভিডিও চ্যাট এড়িয়ে যান। মোবাইলের ফ্রন্ট ক্যামেরায় স্টিকার লাগানো যেতে পারে, যাতে আপনার ছবি কেউ রেকর্ড করতে না পারে। লজ্জা নয়, পুলিশের কাছে অভিযোগ করুন। নিজের নম্বর শেয়ার করবেন না কোনো অপরিচিতকে।